সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বাঙালির রক্তে ব্যাবসা নেই’। এই ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদ তথা বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল। বাঙালির মগজে ব্যবসার ‘পোকা’ ঢোকাতে আগেও একাধিক পদক্ষেপ করছে চনমনে এই পরিষদ। সেই লক্ষ্যেই এবার আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের স্মরণে বার্ষিক বিতর্ক সভার আয়োজন করেছিল তারা। এবারের বিতর্কের বিষয় ছিল ‘বাংলার অর্থনৈতিক নবজাগরণ হবে বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের হাত ধরেই’।
গত ১২ আগস্ট ঐতিহাসিক আলিপুর জেল মিউজিয়াম অডিটোরিয়ামে ছিল এই বিতর্ক সভা। এদিন সভার পক্ষে বলেন সুবীর ঘোষ, দীপান্বিতা গুপ্ত এবং শুভদীপ রায়। প্রত্যেকেই নিজের বক্তব্যে বাঙালি শিল্পোদ্যোগীদের সম্ভাবনার দিকটি তুলে ধরেন। বাংলার অর্থনৈতিক নবজাগরণের পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে সভার বিপক্ষে নিজেদের মতামত জানান ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী, রীতি জানা এবং দেবতোষ চট্টোপাধ্যায়। কোথায় কোথায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন বাঙালি শিল্পোদ্যোগীরা, সেক্ষেত্রে ঠিক কী করণীয়, তা আলোচনায় তুলে ধরেন তাঁরা।
গুরুত্বপূর্ণ এই বিতর্ক সভার মডারেটর বা পরিচালক ছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী সৌরভ চুন্দর। আহ্বায়ক ছিলেন ড. মহুয়া দত্ত। মেধাবী বিতর্কসভার বিচারকের আসনে ছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যাপক ড. সুমনা ঘোষ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তনুশ্রী দত্ত। তাঁরা সভার পক্ষে সেরা বক্তা হিসেবে বেছে নেন দীপান্বিতা গুপ্তকে। অন্যদিকে বিপক্ষ বক্তাদের মধ্যে সেরার শিরোপা পান রীতি জানা।
প্রথম থেকেই বাঙালিকে ব্যবসায় সাহস জুগিয়ে চলেছে বেঙ্গল বিজনেস কাউন্সিল। এদিনও নিজের বক্তব্যে সেই উচ্চারণই দেখা গেল কাইন্সিলের চেয়ারম্যান অভিষেক আড্ডির মুখে। তিনি বিতর্কসভার বিজয়ীদের অভিনন্দন জানান। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সাধারণ সম্পাদক শুভাশিস দত্ত এই ধরনের বিতর্কসভা আয়োজনের গুরুত্ব সম্পর্ক বলেন। রবিবার বঙ্গীয় বাণিজ্য পরিষদের অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে ছিলেন বহু শিল্পপতি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.