সুব্রত বিশ্বাস: একেই বলে ভারতীয় জওয়ান। রণাঙ্গনে নয়, কলকাতা মেট্রোতেও দেখাল নিজের কর্মতৎপরতাকে। পাশাপাশি তিনি কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীর কাজে অবহেলার প্রতিবাদ করে চূড়ান্ত ভৎর্সনাও করেন।
[নবান্নে বাগরি বৈঠক, মন্ত্রিগোষ্ঠীর নজরে পুরসভার ভূমিকা]
ঘটনাটি ঘটে সোমাবার বিকেল ৫.৫৪ মিনিট নাগাদ। ভিড় ঠাসা দমদমগামী ট্রেনটির প্রথম কামরার প্রথম গেটটিতে দৌড়ে ওঠেন এক মহিলা। সঙ্গে থাকা বালক অবশ্য চড়তে পারেনি। তার আগেই গেট বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবাদ সেজন্য নয়। অন্য কারণে। ট্রেনটি ছেড়ে দেওয়ার পরও মহিলার সালোয়ার কামিজের একটা অংশ ও ওড়নার অধিকাংশটাই গেটের বাইরে। এই অবস্থায় ট্রেনটি ছেড়ে দেয়। এয়াল লাইন্সের গেট দিয়ে তখন মেট্রোতে নামছিলেন ওই এয়ার ফোর্সের কর্মী। ওই অবস্থায় ট্রেন ছাড়তে দেখে তিনি সিঁড়ি থেকে একপ্রকার লাফিয়ে এসে চিৎকার করে ট্রেনটি দাঁড় করায়।
[জনবহুল এলাকার মিষ্টি কারখানায় আগুন, ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা]
চালক দরজা খুললে মহিলা ধাতস্থ হন। তাঁর সঙ্গের বালকও ট্রেনটিতে চড়েন। ট্রেনটি ছেড়ে গেলেও পাশে থাকা কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীকে চরম ভৎর্সনা করেন ওই সেনাকর্মী। তিনি স্পষ্ট করেন, কেন ওই অবস্থায় দেখে আরপিএফ জওয়ান কোনও পদক্ষেপ করলেন না। প্রথমে এড়ানোর চেষ্টা করলেও পরে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান ওই আরপিএফ জওয়ান। বিপদ দেখে উদাসীন থাকবেন না। এটাও জওয়ানের ধর্ম হওয়া উচিৎ বলে শিখিয়ে যান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.