Advertisement
Advertisement
Jadavpur

‘গ্রেপ্তার চাই’, ফের যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের

'আমাদের কর্মসূচিতে একটি গাড়িও আটকানো হয়নি', জানালেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি কোহিনূর মজুমদার।

Arrest the culprit, TMC protests again near Jadavpur police station

যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের।

Published by: Amit Kumar Das
  • Posted:March 1, 2025 10:22 pm
  • Updated:March 1, 2025 11:07 pm  

রমেন দাস: শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে, এই দাবিতে ফের যাদবপুর থানার সামনে বিক্ষোভ তৃণমূলের। ছাত্র আন্দোলনের নামে হিংসা ছড়ানো অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ ও স্লোগান দিলেন তৃণমূল পরিষদের নেতা-কর্মীরা। প্রবল চাপের মুখে বামেদের রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি উঠে যাওয়ার পর, ফের তৃণমূলের এই বিক্ষোভে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি।

তৃণমূলের এই বিক্ষোভ প্রসঙ্গে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি কোহিনূর মজুমদার বলেন, ”আমরা চাইছি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হোক। একের পর এক পড়ুয়াকে মারল। একজন শিক্ষককে মারল। মন্ত্রীকে মারল। এরপর পুলিশ গ্রেপ্তার করতে গেলে সেই একই ‘কার্ড’ দেখানো হবে যে আমরা ছাত্র। বছরের পর বছর ধরে এটা চলতে পারে না। এটার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ। আমরা চাই অপরাধীরা গ্রেপ্তার হোক। সেইজন্য আমরা পুলিশের কাছে গিয়ে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছি, এবং গণতান্ত্রিকভাবে প্রতিবাদ করেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিবাদে মানুষের অসুবিধা করে একটি গাড়িও আটকানো হয়নি।”

Advertisement

উল্লেখ্য, শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূলপন্থী শিক্ষক-অধ্যাপক সংগঠন ওয়েবকুপার বার্ষিক সাধারণ সভা ঘিরে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল পরিবেশ। এসএফআই ও অন্যান্য বামসমর্থিত ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে পোস্টার, ব্যানার হাতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন। অভিযোগ, এরপর দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সভায় ভাষণ দেওয়াকালীন সেখানে ঢুকে চেয়ার ভাঙচুর করে ‘তাণ্ডব’ চালায় বামপন্থী ছাত্রদের কয়েকজন। অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী বেরনোর সময়ই চরম আঘাতের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। গাড়ি ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। ইটের আঘাতে গাড়ির কাচ ভেঙে লাগে মন্ত্রীর রক্ষীর গায়ে। আহত হন ব্রাত্য বসুও। এসময় বিক্ষোভের মাঝে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে একজন আহত হন, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাতে আগুনে আরও ঘি পড়ে।

এরপর সন্ধ্যা নামতেই যাদবপুরের আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা রাস্তা অবরোধ করেন। তাতে যাদবপুর-ঢাকুরিয়া ও গড়িয়া-গড়িয়াহাটের রাস্তা একেবারে বন্ধ হয়ে যায়। পথচারীরা আটকে পড়েন। যানজট দীর্ঘ হলে যাত্রীদেরই কেউ কেউ এগিয়ে এসে পথ অবরোধ তোলার অনুরোধ জানান। কিন্তু তাতে কাজ না হলে যাত্রীরাই সমবেতভাবে চাপ দেন। তাতে পিছু হঠে অবরোধ তোলেন আন্দোলনকারীরা। রাজা সুবোধচন্দ্র মল্লিক রোডের দুটি লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। পরে শিক্ষামন্ত্রীর হেনস্তার প্রতিবাদে পথে নামে তৃণমূল। সুকান্ত সেতুতে যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষের নেতৃত্ব জমায়েত করেন সকলে। ছিলেন মন্ত্রী তথা টালিগঞ্জের বিধায়ক অরূপ বিশ্বাসও। তাঁদের নেতৃত্বে মিছিল এগিয়ে চলে যাদবপুরের এইট বি-র দিকে। সায়নীর বক্তব্য, ”শান্ত যাদবপুরকে অশান্ত করতে চাইছে এরা। কিন্তু এসব করে লাভ নেই। শান্ত বাংলাকে কোনওভাবে অশান্ত করা যাবে না। আমরা রুখে দাঁড়াব। আর ছাব্বিশের ভোটে বড় খেলা হবে। কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না।” সায়নী ঘোষ, অরূপ বিশ্বাসরা ফিরে যাওয়ার পর ফের থানার সামনে গ্রেপ্তারীর দাবিতে বিক্ষোভ তৃণমূলের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement