সুব্রত বিশ্বাস: নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে আরপিএফের হাজার-হাজার কর্মীর বদলি রুখতে নির্বাচন কমিশনকে দু’বার চিঠি দিল আরপিএফ অ্যাসোসিয়েশন। যদিও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কোনওরকম পদক্ষেপ করেনি এই চিঠি পেয়েও। ১০ এপ্রিলের মধ্যে এই কর্মীদের বদলি কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছিল আরপিএফের ডিজি। অ্যাসোসিয়েশন এটাকে কোড অফ কন্ডাক্ট খণ্ডন বলে আখ্যা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে রিমাইন্ড দেয়। তবুও এই প্রতিবাদ কমিশনে গুরুত্ব পায়নি।
আরপিএফ প্রশাসন সূত্রে বলা হয়েছে, আইবি রিপোর্ট দিয়েছিল, ডিসিপ্লিনারি ফোর্সে এই অ্যাসোসিয়েশনের দুর্নীতি আকাশছোঁয়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশজুড়ে বদলি নিয়ন্ত্রণ করে টাকা উপার্জন থেকে শুরু করে নানা ধরনের কাজ নিয়ে অভিযোগ ওঠে। অ্যাসোসিয়েশনের মাথায় সব অবসরপ্রাপ্তরা থাকায় তাঁরা কর্মীদের ভাল মন্দ না দেখে শুধুই উপার্জনে ব্যস্ত থাকতেন বলে অভিযোগের পর আরপিএফের ডিজি অ্যাসোসিয়েশনে অবসরপ্রাপ্তদের উপস্থিতি নিষেধ করে দেন আইন অনুযায়ী। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইউ এস ঝা অবসরপ্রাপ্ত আরপিএফ। ফলে নির্দেশ অনুযায়ী তিনি অ্যাসোসিয়েশনের বাইরে হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু তিনিই নির্বাচন কমিশনে অ্যাসোসিয়েশনে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকেই এই চিঠি দেওয়ায় তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে আরপিএফ মহলে।
সাধারণ কর্মীদের কথায়, সংগঠন অকেজো হয়ে পড়ায় হালে পানি পাচ্ছেন না নেতারা। তাই আবার এভাবে নিজেদের সক্রিয় করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যদিও এটা চূড়ান্ত বেআইনি বলে জানিয়েছেন আরপিএফ কর্তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.