ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: সামনেই বড়দিন। নতুন বছর। টাকা চুরির জন্য উৎসবের মরশুমের এই সময়টাই টার্গেট করেছেন প্রতারকরা। হাতে ভূরি ভূরি নকল মাস্টার কার্ড। এটিএমে ঢুকলেই মেশিন হ্যাং করে তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার নিখুঁত প্ল্যান। বড়দিনের আগে এমনই এক মাস্টার প্রতারক ধরা পড়ল পুলিশের জালে। ধৃত সুজন খাড়া হাওড়ার বাঁকড়ার বাসিন্দা।
দিন কয়েক আগের ঘটনা। সায়েন্স সিটির সামনে একটি এটিএম থেকে টাকা তুলতে যান দুই ব্যক্তি। অভিযোগ, আচমকাই অচেনা এক ব্যক্তি তাদের সাহায্য করার অছিলায় এটিএম হ্যাং করে দেন। তারপরেই মোবাইলে আসে মেসেজ। ৫০ হাজার টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে। সন্দেহ হয় দু’জনের। অভিযোগ জানানো হয় প্রগতি ময়দান থানায়। এরপরেই এটিএমের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়। তাতে দেখা যায় এক ব্যক্তি এটিএম মেশিনে সুইচ টিপছে। তার হাবভাব দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। দেখা যায় ওই সন্দেহজনক ব্যক্তি এটিএম থেকে বেরনোর পরেই মেশিন হ্যাং হয়ে যাচ্ছে। তারপর যে গ্রাহকই আসছেন তিনি আর টাকা তুলতে পারছেন না। গ্রাহককে সাহায্য করার অছিলায় খুঁটিনাটি দেখে নিচ্ছে ওই ব্যক্তি। গ্রাহক কাউন্টার থেকে বেরিয়ে গেলেই নিজের পকেট থেকে নকল মাস্টার কার্ড বের করে তুলে নিচ্ছে টাকা। আর এই তথ্য চুরির পিছনে চাঁই সুজন খাড়া। এরপরেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। জেরায় সুজন জানিয়েছে, একাধিক ব্যাংকের মাস্টার কার্ড তৈরি করেছে সে। এর আগে একবার ব্যাংক প্রতারণার দায়ে জেলও খেটেছে সুজন। সম্প্রতি রোমানিয়ান গ্যাংয়ের এটিএম লুটের ঘটনা পড়ার পরেই ফের নতুন ফন্দি আঁটে সুজন। গ্রাহকদের সাহায্য করার অছিলায় এটিএমের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত সে। তার আগে এটিএমের প্রোগামিংয়ে গন্ডগোল করে রাখত। মেশিন হ্যাং হয়ে গেলেই কাউন্টারে ঢুকে তথ্য দেখে নিত।
[১৮ দিন ধরে মায়ের দেহ আগলে ছেলে! রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া সল্টলেকে]
বড়দিনের আগে উৎসবের মরশুমের এই সময়টায় এটিএমগুলি থেকে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়। সেকথা মাথায় রেখেই অপারেশনে নেমেছিল সুজন। তবে আপাতত পুলিশের জালে এই প্রতারক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই গ্যাংয়ে আর কেউ আছে কি না তার খোঁজ চালানো হচ্ছে। সাধারণত নিরাপত্তারক্ষী নেই এমন এটিএমগুলোকে মাথায় রেখেই কাজে নামে প্রতারকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.