ফাইল ফোটো
সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়: ঘটনার চারদিনের মাথায় কড়েয়ার ‘কোটিপতি’ অটোচালক মহম্মদ আবদুল রফিক খুনের কিনারা করল পুলিশ। নিজের স্ত্রী থাকতেও প্রতিবেশী যুবক ইসমাইলের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়তে চেয়েছিলেন অটোচালক রফিক। তা জানতে পেরে গলায় চপার চালিয়ে রফিককে খুন করে ইসমাইল। এই তথ্য জানার পর শনিবার দুপুরে ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করে কড়েয়া থানার পুলিশ। পরে পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে ইসমাইল। আজ, রবিবার তাকে হাজির করা হবে আদালতে।
এলাকায় ‘কোটিপতি অটোচালক’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন আবদুল রফিক(৬৪)। কড়েয়ার তিলজলা রোডে ৬০ কাঠা জমির অন্যতম মালিক ছিলেন তিনি। এই জমির শরিকের সংখ্যা ৪০ জন। সেই জমির উপর ৫টি টাওয়ারের আবাসন তৈরি করছে শহরের একটি নামী নির্মাণসংস্থা। সেই কারণে আবদুল রফিককে একটি অন্য ফ্ল্যাটে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। রফিকরা ৪ ভাই। তিনভাই থাকেন বাংলাদেশে। রফিকের প্রথমপক্ষের স্ত্রীর কোনও সন্তান ছিল না। বছর তিনেক আগে তাঁর মৃত্যু হয়। তারপরই রফিক বিয়ে করেন ব্রাইট স্ট্রিটের অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের ৪০ বছরের মহিলা নীলুকে।
ঘটনার আগের দিনই অর্থাৎ সোমবার নীলু বাপের বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। রফিকের পাশের ফ্ল্যাটেই থাকে ইসমাইল। এলাকায় তুমুল পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। আয়রনে ভরা লাল পানীয় জলের এই সমস্যা এলাকায় বহুদিনের। সেই কারণে বিশুদ্ধ পানীয় জল আনতে অটো চালিয়ে অনেক দূরে যেতেন রফিক। সেই খবর জানার পর ইসমাইলও জল আনার জন্য তাঁর অটোতে যেতে চায়। রাজি হয়ে যান রফিক। প্রথম প্রথম সেই অটোতে রফিকের সঙ্গে জল আনতে যেতেন ইসমাইলের স্ত্রীও। এরপর স্ত্রী একাই যেতেন। স্বামী না থাকায় চলন্ত অটোয় ইসমাইলের স্ত্রীকে কু-প্রস্তাব দেন রফিক। তা জানতে পেরে গত সেপ্টেম্বর মাসে ইসমাইল রফিকের ফ্ল্যাটে এসে তুমুল ঝগড়া করে। বিষয়টি সাময়িকভাবে মিটে গেলেও মনের মধ্যে চাপা রাগ পুষে রাখে ইসমাইল। কালীপুজোর পরেরদিন সে জানতে পারে রফিক ফ্ল্যাট একাই রয়েছে। তাই খুনের জন্য ওইদিনটাকেই বেছে নেয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.