সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঙ্কিতা অধিকারী, ববিতা সরকার, অনামিকা রায়। স্কুলশিক্ষিকার (School Teacher) চাকরি কার প্রাপ্য, তা নিয়ে বিস্তর আইনি লড়াই হয়েছে এই তিনজনের মধ্যে। আইনি লড়াইয়ে প্রথমে মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে হারিয়ে জয় হয় ববিতা সরকারের। কোচবিহারের (Cooch Behar) স্কুলে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে অঙ্কিতা পদ খারিজ হয়ে চাকরি পান শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে দেখা গেল, ববিতার নিয়োগও স্বচ্ছ নয়। ফের মামলা, ফের লড়াই, ফের চাকরি বাতিল ও নয়া নিয়োগ। এবার যোগ্য চাকরিপ্রার্থী হিসেবে এল অনামিকা রায়ের নাম। তবে ববিতাও হার মানার পাত্রী নন। চাকরি হারিয়ে কান্নাভেজা গলায়ও বলছেন লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথা।
গত বছরের জুলাই মাসে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ বেআইনি বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) মামলা করেছিলেন শিলিগুড়ির ববিতা সরকার। তাঁর বক্তব্য ছিল, ওই চাকরির যোগ্য দাবিদার তিনিই, মন্ত্রীকন্যা ক্ষমতা দেখিয়ে তা দখল করেছেন। উচ্চ আদালতে ববিতার অভিযোগ প্রমাণের পর বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি খারিজ হয় অঙ্কিতার। সেই জায়গায় চাকরি পান ববিতা। শুধু তাই নয়, অঙ্কিতার ৪৩ মাসের বেতনের টাকাও ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই টাকা ববিতাকে দেওয়া হয়।
ববিতার এই লড়াই অনেককেই অনুপ্রাণিত করেছিল। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এরপরই জোরদার আন্দোলনে শামিল হন অন্যান্য চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু ববিতা চাকরি পাওয়ার কয়েকমাস পর তাঁর নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই পদের অন্যতম দাবিদার অনামিকা রায়। তাঁর বক্তব্য ছিল, ববিতার প্রাপ্ত নম্বর ৬০ শতাংশ নয়। অথচ তিনি ৬০ শতাংশ লিখেছেন ফর্মে। তাতেই ববিতার অ্যাকাডেমিক স্কোর বেড়ে গিয়েছে। হিসেবমতো ববিতার থেকে নম্বর বেশি অনামিকার। ফের শুরু হয় মামলা। যথাযথ প্রমাণের ভিত্তিতে ববিতা সরকারের সুপারিশপত্র বাতিল করে পর্ষদ। ফলে ববিতা আর শিক্ষিকা রইলেন না। কিন্তু এতে হাল ছাড়ার পাত্রী নন তিনি। কান্নাভেজা গলাতেই বলছেন, ”লড়াই চালিয়ে যাব।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.