অর্ণব আইচ: তরতাজা দুই কিশোরকে রীতিমতো পরিকল্পনা করে খুন। প্রমাণ লোপাটের জন্য আলাদা জায়গায় দেহ ফেলা। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? মঙ্গলবার বাগুইআটির (Baguiati Double Murder) দুই কিশোরের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই সকলের মনে প্রশ্ন, কেন এই খুন? তা নিয়ে আলোচনার মাঝেই উঠে এল ত্রিকোণ সম্পর্কের তত্ত্ব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগুইআটির অতনু দের বাড়ির কয়েকটা বাড়ি পরেই অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র চৌধুরীর শ্বশুরবাড়ি। অভিযুক্তের স্ত্রী পুজাকে দিদি বলে ডাকত অতনু। তাঁদের বাড়িতে নিত্য আনাগোনাও ছিল ওই কিশোরের। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, অতনু ও পুজার এই মেলামেশা মোটেও ভাল ভাবে নিত না সত্যেন্দ্র। ফলে সত্যেন্দ্রর অতনুর উপর রাগ তৈরি হয়। তবে গোটাটাই অনুমান। সত্যেন্দ্র বা তার স্ত্রীকে জেরা না করা পর্যন্ত এ বিষয়েও নিশ্চিত হতে পারবে না তদন্তকারীরা।
তবে পুলিশ নিশ্চিত যে, সত্যেন্দ্রর টার্গের ছিল অতনু দে-ই। অভিষেক নস্কর স্রেফ পরিস্থিতির স্বীকার। দীর্ঘদিন ধরেই অতনুকে খুনের ছক কষেছিল সত্যেন্দ্র। সেই মতোই বারবার বিভিন্ন অছিলায় নিয়ে গিয়েছে বাড়ি থেকে দূরে। ১৮ আগস্টই হয়তো প্রাণ যেত কিশোরের। স্রেফ বন্ধু সায়নের বুদ্ধির জোরে সেদিন বেঁচে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তবে সত্যেন্দ্র জানত, এই ঘটনার পর শ্বশুরবাড়িতে ফেরা তাঁর জন্য নিরাপদ নয়। সেই কারণেই আগেভাগেই স্ত্রীকে সরিয়ে ফেলেছিলে, নিজেও আর ফেরেননি এলাকায়। তবে কী খুনের নেপথ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু, তা এখনও তদন্ত সাপেক্ষ।
প্রসঙ্গত, ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয়ে যায় বাগুইআটির দুই পড়ুয়া। বাসন্তী হাইওয়েতে তাঁদের খুন করা হয়। দু’সপ্তাহ ধরে বসিরহাট থানার মর্গে পড়েছিল দেহ। অথচ জানতই না পুলিশ। এদিকে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মেসেজ করা হচ্ছিল পরিবারের সদস্যদের। পরে মঙ্গলবার উদ্ধার হয় দেহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.