সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আত্মপ্রকাশের দু’বছরের মধ্যেই ভেঙে গেল ‘বাংলা পক্ষ’। প্রতিষ্ঠাতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ এনে সংগঠন ছাড়লেন বেশ কয়েকজন ‘সক্রিয় সদস্য’। তাঁদের হাত ধরেই আত্মপ্রকাশ ঘটল নতুন বাংলা জাতীয়তাবাদী সংগঠন ‘জাতীয় বাংলা সম্মেলন’-এর। যদিও, বাংলা পক্ষ তথা গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, যাঁরা নতুন সংগঠনটি তৈরি করেছেন, তাঁদের আগেই বাংলা পক্ষ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
বেশ কিছুদিন আগেই বাংলা পক্ষের অন্দরে কোন্দল মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এর আগে একবার সংগঠনের দুই গোষ্ঠী একে-অপরকে বহিষ্কারও করে। সংগঠনটির জন্ম হয়েছিল বাঙালির অধিকার এবং বাংলা বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করার উদ্দেশে। কিন্তু, যে বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ‘বাংলা পক্ষ’র জন্ম হয়েছিল, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গর্গর বিরুদ্ধে পালটা সেই বিদ্বেষ ছড়ানোরই অভিযোগ উঠল। সেই সঙ্গে অভিযোগ উঠল, হিন্দুত্ববাদী প্রচার চালানোর।
নতুন সংগঠনের কার্যকারী সভাপতি অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “বাংলা পক্ষের নেতৃত্বের একাংশ বাঙালির অধিকার অর্জনের তুলনায় জাতি বিদ্বেষী এবং জাতিবাদী কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। একই সঙ্গে তাঁরা হিন্দুত্ববাদী বাঙালির প্রচারে বেশি জোর দিচ্ছে। ‘বাংলা পক্ষ’ নিজেদের গোড়ার কথা ভুলে একটি বিদ্বেষধর্মী রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। এটা বাঙালির স্বার্থ বিরোধী।” নতুন সংগঠনটির দাবি, তাঁরা বিদ্বেষ ছেড়ে শুধু বাঙালির অধিকারের জন্য লড়াই করবেন।
উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে ‘বাংলা পক্ষ’। এই সংগঠনের বিরুদ্ধে একাধিক জায়গায় আইন বিরুদ্ধ কাজ তথা আইন হাতে তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাঙালির অধিকার অর্জনের নামে অবাঙালিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, তথা অসহিষ্ণুতার অভিযোগও নতুন নয়। একদিকে, যেমন এসব রয়েছে অন্যদিকে তেমনি রয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল, বাংলা পক্ষের অন্দরে দুটি গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। শেষপর্যন্ত গত ২৮ অক্টোবর সংগঠনটির অন্দরের ভাঙন প্রকাশ্যে আসে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং জেলা স্তরের একাংশ সদস্য মিলে নতুন রাজনৈতিক সংগঠন তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেইমতো, রবিবার নতুন সংগঠন তৈরির কথা ঘোষণা করা হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.