সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও স্বাভাবিক যান চলাচল শুরু হল না খিদিরপুরের বাসকিউল সেতুতে। শুক্রবার সকাল থেকে স্রেফ ছোট গাড়ি চলছে। তীব্র যানজটে শহরবাসীর ভোগান্তি অব্যাহত। এমনকী, শহরে ঢোকার মুখে দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ে-তেও সার দিয়ে দাঁড়িয়ে পণ্যবাহী গাড়ি।
খিদিরপুরের বাসকিউল সেতুতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয় মঙ্গলবার রাতে। জানা গিয়েছে, খিদিরপুর ডকে জাহাজ চলাচলের জন্য সেতুটি তোলা হয়েছিল। কিন্তু নামানোর সময়ে সেতুর একটি বেয়ারিং পয়েন্ট কিছুতেই সেট করা যাচ্ছিল না। ফলে বাসকিউল সেতুটিকে আর আগের অবস্থায় ফেরানো যায়নি। রাত থেকে খিদিরপুরের গার্ডেনরিচ সার্কুলার রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে মাঝেরহাট ব্রিজ বিপর্যয়ের পর খিদিরপুর চত্বরে গাড়ির চাপও বেড়েছে। বুধবার সকাল থেকে তীব্র যানজট তৈরি হয় বন্দর এলাকায়। শেষ খবর অনুযায়ী, বাসকিউল সেতু মেরামতের কাজ এখনও চলছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যানজট আরও বেড়েছে। ভোরের দিকে তারাতলা, বেস ব্রিজ, খিদিরপুর, মেটিয়াবুরুজ, ডায়মন্ড হারবার রোড, হেস্টিংসে সার দিয়ে দাঁড়িয়েছিল পণ্যবাহী ট্রাক। একই অবস্থা ছিল দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে। শেষপর্যন্ত সকাল ৯টা থেকে বাসকিউল সেতু দিয়ে ছোট গাড়ি চলাচল শুরু হয়। তাতে যানজট কিছুটা কমলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
কিন্তু বাসকিউল সেতুর একটি মাত্র বেয়ারিং মেরামত করতে এত সময় লাগছে না কেন? মঙ্গলবার রাতে যখন সেতুর বেয়ারিংটি সেট করা যাচ্ছিল না, তখন ইঞ্জিনিয়ারদের খবর দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, ইঞ্জিনিয়ার গিয়ে দেখেন, সেতুর ওই বেয়ারিং পয়েন্টটি ভেঙে গিয়েছে। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় বুধবার বিকেলের দিকে বেয়ারিংটি খুলে ফেলা গিয়েছে। একজন ইঞ্জিনিয়ার জানিয়েছেন, খিদিরপুরের বাসকিউল সেতুতে বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি। তাই বেয়ারিং খুলতে যেমন সময় লেগেছে, তেমনি নতুন বেয়ারিং লাগাতেও সময় লাগছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.