ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ‘একা লড়াই’-এর কথা শুধু বললেই হবে না। তার জন্য পায়ের তলার জমি মজবুত করতে হবে, নিজেদের দাম বাড়াতে হবে। চেষ্টা করতে হবে সমস্ত বিধানসভায় প্রার্থী দেওয়ার। জোট নিয়ে না ভেবে ছাব্বিশের ভোটের আগে কর্মীদের এভাবেই নিজেদের ‘দর বাড়ানোর টাস্ক’ দিয়ে গেল কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রাজ্যের কংগ্রেস পর্যবেক্ষক গুলাম মীর শনিবার এসেছিলেন একদিনের রাজ্য সফরে। সূত্রের খবর, বিধান ভবনে দলের রাজনৈতিক কর্মশালায় মীর বলেছেন, ‘তৃণমূল বা অন্য যে দলই হোক, কার সঙ্গে চলব সে সব ভাবতে হবে না। আমাদের এখন এসব নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আবার একলা চলার কথাও বলছেন। আগে নিজেদের শক্তি বাড়ান। এমন জায়গায় নিজেদের নিয়ে যান যাতে অন্য দল এলে দরদাম করা যায়।’ এই প্রেক্ষিতেই বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার কথা বললে কর্মীরা প্রশ্ন করেন, ভোটের সময় রাজ্যের শাসক দল নানাভাবে ভয় দেখিয়ে বুথে এজেন্ট দিতে দেয় না। সেখানে দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব এবার রাজ্যে না এলে মনোবলে টান পড়ছে।
বঙ্গ নেতৃত্বের এহেন মন্তব্যের প্রক্ষিতেই মীর জানান, আগামিদিনে রাহুল গান্ধী বা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী অথবা সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেদের কেউ কলকাতায় আসতে পারেন। তার আগে বুথস্তরে কমিটি মজবুত করুন। দলের রাজনৈতিক কর্মশালায় এদিন দু’পাশে দুই প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরি ও প্রদীপ ভট্টাচার্য ছাড়াও ছিলেন বর্তমান সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। ছিলেন সদ্য দলে যোগ দেওয়া প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। বৈঠকে প্রদীপ ও অধীর দুজনেই সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অভিযোগে একযোগে বিজেপি ও তৃণমূলকে বেঁধেন।
এই ইসুতেই ভুতুড়ে ভোটার প্রসঙ্গও ওঠে। মীর জানিয়ে দেন, এ নিয়ে পথে কংগ্রেসকেও নামতে হবে। তবে তৃণমূল যে যুক্তিতে ভুতুড়ে ভোটারের কথা বলছে, তার থেকেও বেশি জরুরি হল ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.