সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা রামে রক্ষে নেই, তায় সুগ্রীব দোসর! দলের প্রাক্তন মহিলা কর্মীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগ তো ছিলই। এবার দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি (BJP) সভাপতির বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ তুলে থানায় গেলেন দলেরই কর্মী। নারীঘটিত কেলেঙ্কারির পর নয়া সংযোজন আর্থিক প্রতারণা। জোড়া ফলায় বিদ্ধ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ঘনিষ্ঠ সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ধর্ষণের মামলা হওয়ায় শনিবার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। তবে দিলীপ ঘোষ তাঁকে কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
জানা গিয়েছে, দলেরই দক্ষিণ কলকাতা জেলার এক সংগঠক মৃণালকান্তি দাস সোমনাথের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ছয় লক্ষ টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ করেছেন মৃণালকান্তি দাস। একইসঙ্গে দিলীপ ঘোষকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন তিনি। অভিযোগপত্রে লিখেছেন, বার বার সব ঘটনা জানানোর পরও সোমনাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি সভাপতি। হরিদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগে মৃণালকান্তি দাস আরও জানিয়েছেন, ‘গত পুরভোটে ১১৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হয় সোমনাথ। আমার থেকে সেই সময় দু’লক্ষ টাকা নেয়। পরবর্তী সময়ে আরও চার লক্ষ টাকা নেয়।’
প্রসঙ্গত, অভিযোগকারীর একটি ফাঁকা জমিতে বাড়ি তৈরির বরাতও দেওয়া হয়েছিল বিজেপি নেতা সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তারপর বহুদিন হয়ে গেলেও সেই টাকা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। মৃণালকান্তি দাসের আরও অভিযোগ, রাজ্য নেতৃত্ব সব জানলেও ব্যবস্থা নেয়নি কোনও। এমনকী দিলীপ ঘোষের কাছে তিনটি চিঠিও লেখেন মৃণালকান্তি দাস। তাঁর অভিযোগ, সব জেনেও চুপ ছিলেন রাজ্য সভাপতি। উল্লেখ্য, সোমনাথের বিরুদ্ধে হরিদেবপুর থানায় দলের এক প্রাক্তন মহিলা কর্মী সহবাস ও ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। সোমনাথবাবু দিলীপ ঘোষকে পাঠানো পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু পার্টিতে আমি রয়েছি, তাই এখন পদত্যাগ করছি। যাতে পার্টির বদনাম না হয়।’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.