ফাইল ছবি।
ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: শিশুদের সংক্রমণ ঠেকাতে কী করছে স্বাস্থ্যদপ্তর? তার বিস্তারিত তথ্য চাইলেন মুখ্যসচিব। নবান্নের কর্তাদের স্পষ্ট অভিমত, তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই সব প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে হবে।
রাজ্যের ৮০ শতাংশ পরিবার সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর নির্ভরশীল। তাই এমন করে পরিকাঠামো সাজানো হচ্ছে, যাতে সংক্রমণ (Corona Virus) শুরু হলে সব শিশুকে সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার মধ্যে আনা যায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, “অন্য রাজ্যের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে দ্বিতীয় দফায় সংক্রমণ কম। মৃত্যুও কম। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর কোনও ঝুঁকি নেবে না। সব ধরনের সমস্যা মোকাবিলা করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
বিশ্বজুড়ে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা নভেম্বর-ডিসেম্বরে দেশে করোনার (COVID-19) তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে। যার টার্গেট ০-১৮ বছর। এরমধ্যে আবার ০-১২/১৩ বছরের শিশুদের করোনা সংক্রমণ ভয়াবহ আকার নিতে পারে। গড়ে প্রতি হাজারে ৪০০-৫০০ শিশু আক্রান্ত হতে পারে। এর মধ্যে আবার ৫ শতাংশকে হাসপাতালে ভরতি করতে হতে পারে। ফলে এমনভাবে হাসপাতালের পরিকাঠামো সাজাতে হবে, যাতে শিশুর সঙ্গে মাও থাকতে পারেন। সঙ্গে চাই চুড়ান্ত পেশাদারী শিশু চিকিৎসক। কোভিড বা সারি পজিটিভ শিশুর জীবন বাঁচাতে যেকোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে অযথা বিলম্ব করলে চলবে না।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যসচিব-সহ দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। নবান্ন সূত্রে খবর, রাজ্যের সব জেলা হাসপাতালে শিশুদের জন্য কোভিড শয্যা বরাদ্দ করা হচ্ছে। হিসেব বলছে, মেডিক্যাল কলেজ থেকে জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত – গড়ে ৪০০টি করে শয্যা শিশুদের জন্য বরাদ্দ করা হবে। এরমধ্যে ৫ শতাংশ সিসিইউ এবং ১০ শতাংশ এইচডিইউ শয্যার ব্যবস্থা করতে হবে। রাজ্যের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট রাখা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.