রাহুল রায়: পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরে গণধর্ষণের (Gangrape) তদন্তে পুলিশের ভূমিকা ক্ষুব্ধ কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু আনন্দপুর থানা নয়, জেলা পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। পাশাপাশি গণধর্ষণের তদন্তভার জেলা পুলিশের বদলে সিআইডির (CID) হাতে তুলে দেওয়ার বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে স্বরাষ্ট্রসচিবকে।
অভিযোগকারী যেদিন অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন, সেদিন থানার সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছিল হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। এদিন পুলিশ রিপোর্টে জানায়, যেদিন ওই মহিলা থানায় এসেছিলেন সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। এই রিপোর্ট থেকে আদালত নিশ্চিত যে ওই দিনগুলির ফুটেজ হয় মুছে ফেলা হয়েছে বা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনা পরম্পরা থেকে গোটা ঘটনাক্রমে পুলিশের চূড়ান্ত গাফিলতি আদালতের কাছে স্পষ্ট।
অভিযোগ পাওয়ার পরেও থানা ও এসপি কেন FIR করার উদ্যোগ নেয়নি, কেন ৬ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে শুনানি শুরুর পরে বিকেলে FIR করে তদন্ত শুরু এই যাবতীয় বিষয় নিয়ে খতিয়ে দেখে রাজ্য পুলিশের ডিজি রিপোর্ট দেবেন ২২ সেপ্টেম্বর। সেখানে সুপ্রিম কোর্ট ও হাই কোর্টের আগের নির্দেশ মেনে গাফিলতির দায়ে কেন এসপি ও ওসির বিরুদ্ধে FIR হবে না তাও বিস্তারিত জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, মামলার নিষ্পত্তি করে দেওয়ার নামে এক মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। এই নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁর এফআইআর নেয়নি পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ নির্যাতিতার। ওই ঘটনায় পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। পাশাপাশি, থানার সিসিটিভি ফুটেজও জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। এই সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন ওই মহিলা। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও গণধর্ষণের ঘটনায় হাই কোর্টে চিঠি দিয়ে মামলা করার অনুমতি চান নির্যাতিতা। সেই আবেদন গ্রহণ করেন বিচারপতি। প্রসঙ্গত, নির্যাতিতা মহিলার মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.