স্টাফ রিপোর্টার: কেরলের ভয়াবহ পরিস্থিতির মোকাবিলা করে রাজ্যে ফিরলেন প্রায় হাজার দু’য়েক মানুষ। রাত বারোটা নাগাদ বিশেষ ট্রেনে হাওড়া স্টেশনে আসেন তাঁরা। রাতভর বিভিন্ন বাসের মাধ্যমে তাঁদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। কেরলে আটকে পড়া বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে তিনি বলেন, “মন্ত্রীরা স্টেশনে থাকবেন। সরকারের তরফে বিনা পয়সায় বাসে করে সবাইকে বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে। অন্য কোনও প্রয়োজন থাকলে তাও দেখা হবে।” সেইমতো সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত হাওড়া স্টেশনে হাজির ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
বিভিন্ন জেলার বাসিন্দাদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কাজে তদারকি করেন তিনি। বলেছেন, “দূরবর্তী জেলার বাসিন্দাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের তরফে। উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকলকেই বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে।” কেরলে কাজ করতে যাওয়া এই রাজ্যের প্রায় এক লাখ মানুষ আটকে রয়েছেন বলে খবর ছিল সেখানকার প্রশাসনের তরফে। তবে তিনটি ট্রেন আসার পর সমস্যা অনেকটাই কমবে বলে ধারণা। একদিকে বন্যাদুর্গত কেরলের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, বাঙালিদের ফিরিয়ে আনতে তিনি বিশেষ উদ্যোগ নেন। এদিন রাতে হাওড়া স্টেশনে পা রেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন এ রাজ্যের বাসিন্দারা। তবে তাঁদের চোখে-মুখে ভয়াবহ পরিস্থিতির ছাপ লক্ষ করা গিয়েছে। সকলেই বলছেন, কেরল কবে স্বাভাবিক হবে সেটাই বড় প্রশ্ন।
কাজের সন্ধানে কেরলে আর যাবেন কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারলেন না তাঁরা। কেরল শ্রম দপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সমস্ত সহায়তা করা হয়েছে নিজের রাজ্যে ফেরার জন্য। বন্যা দুর্গত কেরলে মানুষজনের কাছে পৌঁছাতে ও ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহের জন্য তিনটি বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। ২১ ও ২২ তারিখে ট্রেনগুলি চলবে। ট্রেনগুলির ল্যাগেজ ভ্যানে যাবে ত্রাণসামগ্রী। বিনামূল্যে এই ট্রেনগুলিতে যে কেউ ত্রাণ পাঠাতে পারবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.