ছবি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমফান বিধ্বস্ত প্রায় গোটা বাংলা। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ভেঙেছে কারও বাড়ি। আবার কারও চাষের জমি চলে গিয়েছে জলের তলায়। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। ৫ লক্ষ বিপর্যস্ত পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সাহায্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
২০ মে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ে বাংলায়। নবান্নে কন্ট্রোলরুম খুলে রাজ্যের পরিস্থিতির থেকে দেখভাল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ের তাণ্ডব দেখে অত্যন্ত চিন্তিত হয়ে পড়েন তিনি। রাজ্য ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে বলেই দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। প্রাণহানিও হয়েছে যথেষ্ট। এখনও পর্যন্ত আমফানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৮ জন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে মোট ৬২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ মানুষকে কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে তাঁদের আরও ২৮ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ১৫০০ টাকা এবং পানের বরোজের মালিকদেরও পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে। এছাড়াও রাস্তা মেরামতি, টিউবওয়েল এবং স্কুলবাড়ি সংস্কারের জন্য অর্থবরাদ্দ করেছে রাজ্য। এই প্রসঙ্গে নাম না করে বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, “খালি থালা হাতে বসে আছি। ঘরে একটা ভাত আছে। সেই খাবারই ভাগ করে খাচ্ছি।”
আমফান বিধ্বস্ত রাজ্যকে আবারও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে তৎপর রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ। ইতিমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০টি ব্রিজ মেরামতির কাজও হয়ে গিয়েছে। চলছে নদীবাঁধ মেরামতির কাজও। ২৭৩টি ক্ষতিগ্রস্ত সাবস্টেশন মেরামতি করে পরিষেবা স্বাভাবিক করেছে বিদ্যুৎ দপ্তর। কলকাতা-সহ অন্যান্য রাস্তায় ভেঙে পড়া গাছও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় বিপর্যস্ত পাশে দাঁড়ানোর জন্য রাজ্যবাসীকে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শুকনো খাবার, পোশাক, বইখাতা দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বহু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বহু মানুষ দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তবে তাঁদেরও রাজ্য সরকারের মাধ্যমে ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.