Advertisement
Advertisement
Bidhan Nagar corporation

সম্পত্তি করে বকেয়ার খেসারত ২০ শতাংশ, এবার আরও কড়া বিধাননগর পুর নিগম কর্তৃপক্ষ

কর আদায়ে কর্তৃপক্ষ কড়া পথে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

Bidhan Nagar corporation will take huge steps on property tax
Published by: Paramita Paul
  • Posted:April 1, 2025 3:47 pm
  • Updated:April 1, 2025 3:48 pm  

স্টাফ রিপোর্টার: সম্পত্তি কর বকেয়া রাখলে খেসারত গুনতে হবে দ্বিগুণ। যত বছরের কর বাকি থাকবে, তার উপর যোগ হবে ১০ শতাংশ সুদ, সঙ্গে এককালীন ১০ শতাংশ জরিমানা। বকেয়া কর আদায়ের ক্ষেত্রে এই ‘কড়া’ ব্যবস্থায় এবার জোর দিচ্ছে বিধাননগর কর্পোরেশন। এই ব্যবস্থা ২০২৩-‘২৪ আর্থিক বছর থেকে শুরু হয়েছে। তবে এবার থেকে কর জমা না দিলে আরও কড়া অবস্থান নেবে কর্তৃপক্ষ। কর ব্যবস্থার সরলীকরণের কথা মাথায় রেখে বছর কয়েকের মধ্যেই কেন্দ্রীয়ভাবে কর কাঠামোর পথে হাঁটবে বিধাননগর পুরনিগম। ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে তখন নিজেই নিজেদের কর নির্ধারণ করতে পারবেন আবাসিকরা। তবে এর মধ্যে দীর্ঘদিন কর বকেয়া রেখেছেন এমন বহু আবাসিকের খোঁজ মিলেছে। সেই কর আদায়ে কর্তৃপক্ষ কড়া পথে যেতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।

২০১৫ সালে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা জুড়ে যায় বিধাননগর পুরসভার সঙ্গে। তার আগে বাম আমলেই এই পুর এলাকার কর ব্যবস্থায় জটিলতা ছিল। ২০১৫-য় নতুন করে জটিলতা কাটাতে সচেষ্ট হয় পুর-কর্তৃপক্ষ। যার জেরে পরপর কয়েকটি আর্থিক বছরে সম্পত্তি কর সংক্রান্ত তথ্য পুরনিগমের ওয়েবসাইটে নথিবদ্ধ করার কাজ শুরু হয়। এই জটিলতার মাঝেই বেশ কিছু বছরের কর বকেয়া পড়ে যায়। ধন্দে পড়ে আবাসিকদেরও অনেকে সেই কর বকেয়া রেখে দিয়েছেন। তবে এর মধ্যে অনেকেই সম্পত্তি কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা থেকেই ‘ধন্দে’ পড়ে যাওয়ার কথা বলছেন বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে স্পষ্ট আবেদন, কর যাঁদের বকেয়া রয়েছে সে সব মিটিয়ে দিন। কোনওরকম ধন্দ থাকলে বরো অফিসে আসুন, দরকারে প্রধান দপ্তরে আসুন। কোনও সমস্যা থাকলে কর্তৃপক্ষই সমাধান করে দেবে। কর বকেয়া রাখবেন না।

Advertisement

রাজারহাট-গোপালপুর পুর এলাকা বিধাননগরের সঙ্গে জুড়ে যাওয়ার পর থেকে মূলত যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পুর-কর্তৃপক্ষকে তা হল, রাজারহাট-গোপালপুর পুর এলাকার বহু বাড়িরই হোল্ডিং নম্বর নেই। অর্থাৎ ‘পোস্টাল অ্যাড্রেস’-এর অভাব। তার জেরেই সেই সব এলাকায় সম্পত্তির মিউটেশন করা যাচ্ছে না, কর নির্ধারণও সম্ভব হচ্ছে না। ধীরে ধীরে সরকারের ভূমি ও ভূমিরাজস্ব দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সে সব জটিলতা কাটানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন সম্পত্তি কর ও অ্যাসেসমেন্ট বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবরাজ চক্রবর্তী। বকেয়া কর নিয়ে জটিলতা কাটাতেই এবার কর আদায়ের ক্ষেত্রে কড়া অবস্থানের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীর কথায়, “আমরা কোনওরকম বেআইনি পথের বিরুদ্ধে। আবাসিকদের কাছে বকেয়া কর মিটিয়ে দিতে যেমন পুরনিগম আবেদন করছে, তেমনই কোনওরকম সহযোগিতা আমাদের তরফে দরকার পড়লে তার জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি।”

সম্পত্তি কর বিভাগের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, কেউ হয়তো বেশ কয়েক বছর কর বকেয়া রেখেছেন। তাতে বকেয়া করের উপর ১০ শতাংশ সুদ ও ১০ শতাংশ এককালীন জরিমানা ধার্য হবে। ২০২৩-‘২৪ আর্থিক বছর থেকে এই নিয়ম চালু হয়েছে। এবার তা নিয়ে বেশ কড়া অবস্থানও নেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, “মিউটেশন সংক্রান্ত কোনও ধন্দের জায়গা নেই। যা প্রশ্ন থাকবে কর্তৃপক্ষের কাছে সে সব নিয়ে আসুন, সব সহযোগিতা পাবেন। আর কর বকেয়া রাখবেন না। অবিলম্বে সব জমা করুন। তা না হলে কর বকেয়া রাখলে একেবারে সব কর দেওয়ার সময় জরিমানাও দিতে হবে।” ওই আধিকারিকের সংযোজন, সম্পত্তির মিউটেশন ফি হোক বা কর যা জমা দেওয়ার তা অনলাইনে জমা দিন। যে কোনওরকম দুর্নীতির অভিযোগই তাতে এড়ানো যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement