স্টাফ রিপোর্টার: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বিপুল জনপ্রিয়তা এবং সার্বিক গ্রহণযোগ্যতার কথা বিধানসভায় দাঁড়িয়ে স্বীকার করে নিলেন বিজেপি বিধায়করা। শুধু তাই নয় পদ্ম বিধায়কদের দাবি, হাজার থেকে বাড়িয়ে ভাণ্ডার পাঁচ হাজার করা হোক। শুক্রবার বিজেপির অশোক দিন্দার এই দাবির উল্লেখ করে মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী এস্থার ডুফলোর পরামর্শ মেনেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্প চালু করা হয়েছে। অন্য রাজ্যও এই প্রকল্পকে ‘কপি’ করেছে। এখন আপনারাও মেনে নিলেন কার্যকারিতা। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিই যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে বেশি নকল করছে তাও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বিজেপি বিধায়ক দিন্দা প্রশ্ন তোলেন, ভোটপ্রচারে গিয়ে ত্রিপুরা ও গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তাহলে এখানে কেন ১ হাজার টাকা দিচ্ছে? বাংলাতেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে পাঁচ হাজারি করার দাবি করেন অশোক। শশী পাঁজার উত্তর, “তার মানে স্বীকার করছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভালো।”
এরপর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) নিয়ে স্লোগান-পাল্টা স্লোগান শুরু হয় বিধানসভায়। সেই সময় মন্ত্রী গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করেন। মন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই গেরুয়া শিবিরে লোকসভা ভোটে আঠারো থেকে বারোতে নেমে এসেছে। তাই এই প্রকল্প নিয়ে পদ্ম শিবিরের এত গাত্রদাহ। মন্ত্রীর সাফ ঘোষণা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্প কোনওদিনই বন্ধ হবে না। তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, কোন কোন রাজ্য লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে কপি করেছে? জবাবে শশী পাঁজা জানিয়ে দেন, রাজ্যগুলি সব বিজেপি শাসিত। তবে তাদের নাম তিনি করতে চান না।
এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে শশী পাঁজা (Shashi Panja) পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, এখনও অবধি ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ মহিলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেয়েছেন। তবে ষাট পেরিয়ে যাওয়ায় ৩,৩৭,৯৬২ জনকে অন্য প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ৩,১৬,৭২৭ জনকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বার্ধক্যভাতায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। তফসিলি বন্ধু প্রকল্পে রূপান্তরিত হয়েছে ১৮,১৫৫ জন। জয় জোহার প্রকল্পে ৩,০৮০ জন।
একই সঙ্গে জানানো হয়, জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট থাকায় অনেকেরই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের আবেদন বাতিল হয়। সিঙ্গল অ্যাকাউন্ট হলে এই সমস্যা হয় না। ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে বয়স হলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাওয়া যায়। কিন্তু, অনেকেই ভুল করে পঁচিশ বছরের আগে আবেদন করে ফেলছেন। অনেক ষাটোর্ধ্ব মহিলাও একই ভুল করছেন। ফলে তাঁদের আবেদনপত্র বাতিল হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.