সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্ট্র্যান্ড রোডের অগ্নিকাণ্ডের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। দমকলের বিরুদ্ধে গাফলতির অভিযোগ আনেন তাঁরা। পাশাপাশি এদিনও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আক্রমণ করেন স্বপন দাশগুপ্ত, মুকুল রায়রা। তাঁদের অভিযোগ, অগ্নিকাণ্ডকেও নির্বাচনী প্রচারের হাতিয়ার করছেন মমতা।
সোমবার সন্ধে ৬.১৫ নাগাদ স্ট্র্যান্ড রোডের নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায় পূর্ব রেলের সদর কার্যালয়ে আগুন লাগে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। যান দমকলমন্ত্রীও। দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেও সহজে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি আগুন। প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে গোটা বিল্ডিং। আগুনকে আয়ত্তে আনতে গিয়ে দমকল কর্মী ও পুলিশ-সহ মোট ৯ জনের মৃত্যু হয়। রাতেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আক্ষেপ করেন, নিউ কয়লাঘাট বিল্ডিংয়ের মানচিত্র পাওয়া গেলে অনেক আগে আগুন নেভানো যেত। রেলের কাছে মানচিত্র চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। একইসঙ্গে সেখানে রেলের আধিকারিকদের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টা নাগাদ ঘটনাস্থলে যান মুকুল রায়, স্বপন দাশগুপ্তরা। সেখান থেকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, “এটা নির্বাচনী প্রচারের জায়গা নয়। মুখ্যমন্ত্রী এখনও অন্যের দোষ দেখছেন। গাফিলতি খুঁজছেন। গাফিলতি নিশ্চয়ই ছিল। না হলে এত মৃত্যু হতে পারে না। তবে এখন দোষ না দেখে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সময়।” এদিন রেলের বিরুদ্ধে ওঠা গাফিলতির অভিযোগ উড়িয়ে উলটে দমকলকে কাঠগড়ায় তুলেছেন মুকুল-স্বপনরা। দাবি করেছেন, আগুন মোকাবিলার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই পরিস্থিতি। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে গোয়েন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.