সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূর থেকে আক্রমণ পালটা আক্রমণ চললেও বুধবারই প্রথম কোনও বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হলে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তবে এদিনও তিনি বুঝিয়ে দিলেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আহ্বানে সর্বদল বৈঠকে যোগ দিলেও নিজের তাঁর অবস্থানে অনড় তিনি। বুধবার নবান্ন থেকেই একের পর এক রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দিলীপ।
বুধবার সর্বদল বৈঠকে হাজির হয়ে করোনা থেকে আমফান (Amphan), করোনা-সহ একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। উগড়ে দেন ক্ষোভ। ত্রাণ বিলিতে বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাধা দেওয়া হচ্ছে, ফের এই অভিযোগ তোলেন তিনি। পালটা বিজেপি সাংসদকে নিশানা করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee), পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ অনেকেই। দু’তরফের আক্রমণে কার্যত সরগরম হয়ে ওঠে নবান্নের সভাঘর। পরবর্তীতে ফের একই পরিস্থিতি তৈরি হয় বাম পরিষদীয় দলের নেতা আমফানের ত্রাণে স্বজনপোষণ-সহ একাধিক অভিযোগ করতেই। নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। জবাব দেন শাসকদলের মন্ত্রীরা। পালটা তোপ দাগেন সুজন চক্রবর্তীও। সব মিলিয়ে সবর্দল বৈঠকেও জারি ছিল শাসক-বিরোধী দ্বন্দ্ব।
তবে এদিন বিরোধী ও শাসকদলের মন্ত্রীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ালেও প্রত্যেক অভাব-অভিযোগ শুনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। স্বয়ং দিলীপ ঘোষের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, নির্দিষ্ট কারও বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ রয়েছে কি না। কিন্তু নির্দিষ্ট কারও অভিযোগ করেননি দিলীপ। তবে করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি সাংসদ বলেন, “রাজ্য লকডাউন মানা হয়নি বলেই একের পর এক তৃণমূল নেতা কর্মীরা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।” পরিযায়ী প্রসঙ্গেও রাজ্যকে বেঁধেন দিলীপ। তবে শুরুতে অশান্তি যাই হোক না কেন, বৈঠকের শেষ হয়েছে মিষ্টি মুখেই। সর্বদল বৈঠক শেষে জিলিপি, পাঁপড় আর চা পর্ব সেরে সভাস্থল ছাড়েন শাসক-বিরোধী উভয়েই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.