রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আশঙ্কা আগেই ছিল৷ এবার সেই আশঙ্কা সত্যি করে আট জেলার সভাপতিকে ছেঁটে ফেলল গেরুয়া শিবির৷ আটটি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বদল করে নতুন মুখের খোঁজ শুরু করল বিজেপি৷
দলীয় সূত্রে খবর, কোচবিহার, শিলিগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, শ্রীরামপুর, আরামবাগ, বসিরহাট ও কাঁথির দায়িত্বে থাকা জেলা সভাপতিদের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে৷ এই সাংগঠনিক জেলায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল খারাপ ফলাফলের জেরেই মাশুল দিতে হল জেলা সভাপতিদের৷ এছাড়া পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ হিসেবে অনেকের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করা হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে৷ দলের একাংশ মনে করছে, দলের বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর লোকজনদের পদে আনা হল বিরোধী গোষ্ঠী ঘনিষ্ঠদের সরিয়ে৷ বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোচবিহারে মালতি রাভা, শিলিগুড়িতে অভিজিৎ রায়চৌধুরি, উত্তর দিনাজপুরে শঙ্কর চক্রবর্তী, মালদহে সঞ্জিৎ মিশ্র, শ্রীরামপুরে সুমন ঘোষ, আরামবাগে বিমান ঘোষ, বসিরহাটে গণেশ ঘোষ এবং কাঁথিতে তপন মাইতিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদির সভায় দুর্ঘটনায় পর বঙ্গ বিজেপির নেতাদের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠতে থাকে৷ তখন থেকেই দলবদলের আশঙ্কা তৈরি হয়ে শুরু করে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে৷ দিল্লি থেকে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে, যে বা যাঁরা কাজ করতে পারছেন না, তাঁদের সরিয়ে দিতে হবে৷ তা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনাও শুরু হয়৷
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কড়া বার্তার পর দক্ষিণ কলকাতার এক গোপন ডেরায় হওয়া বৈঠক হয়৷ বৈঠকে দলবদলের রূপরেখাও চূড়ান্ত করা হয়৷ কলকাতার একটি অভিজাত হোটেলে কেন্দ্রীয় বিজেপির সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও সহ-সাধারণ সম্পাদক শিবপ্রকাশের সামনে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয় বলে খবরে প্রকাশ৷ দলে জেলা সভাপতি পদে রদবদলের পাশাপাশি মোদির সভা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা নেতাদের ভূমিকা নিয়েও ওই বৈঠকে আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে৷ আগামী ৩ আগস্ট কলকাতার রানি রাসমণিতে সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সভাকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার বিষয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয় এদিন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.