তরুণকান্তি দাস: আন্দোলনের নামে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর রুখতে যে কড়া আইন এনেছিল সরকার, এবার বন্ধে তার ব্যাপক প্রয়োগ হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত খবর, ছ’টি মামলা রুজু হয়েছে। ভাঙচুর, আগুন লাগানোয় অভিযুক্তদের সাজা দেওয়ার জন্য আইনি ব্যবস্থার পাশাপাশি তাদের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রক্রিয়াও শুরু করবে সরকার। এজন্য ক্ষতিগ্রস্ত বাস ও সম্পত্তির মূল্যায়ন করিয়ে তার নথি পেশ করা হবে আদালতে। আইন অনুযায়ী, হামলার শাস্তি ও জরিমানা আদায়, দুই প্রক্রিয়া একইসঙ্গে চলবে।
[পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে নতুন করে উত্তপ্ত ইসলামপুর, একাধিক বাসে আগুন]
২০১৭ সালেই বিধানসভায় সরকারি সম্পত্তি রক্ষায় সংশোধনী বিল পাস করিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ১৯৭২ সালের একটি আইনে আনা ওই সংশোধনীতে বলা হয়েছিল, আন্দোলনের নামে কথায় কথায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট যাতে না হয়, তা মাথায় রেখেই দোষীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। শুধু তাই নয়, দশ বছরের জেলও হতে পারে দোষ প্রমাণিত হলে। কেননা, সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস মানেই সাধারণের পয়সা নষ্ট। বিজেপির ডাকা বন্ধে সেই আইন কার্যকর করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে নির্দেশ গিয়েছে নবান্ন থেকে।
[ইসলামপুরে ঘাঁটি গেড়েছে জামাত-সিমি, বিস্ফোরক দিলীপ]
রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা অনুজ শর্মাও জানিয়েছেন, ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা করা হচ্ছে। ঝাড়গ্রামের লালগড়ে আগুন লাগানো হয়েছে সদ্য চালু হওয়া বাংলাশ্রী এক্সপ্রেসের বাসে। ইসলামপুরে ছাত্রমৃত্যু নিয়ে এই বন্ধ, সেখানে দু’টি বাসে ভাঙচুর, আগুন দেওয়া হয়। ইসলামপুরে দু’টি বাসের চালক থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ভিডিও ফুটেজ আনিয়েছে। একটি সূত্রে খবর, স্থানীয়ভাবে তো বটেই, বাসে ক্যামেরা থেকেও ফুটেজ মিলেছে। তার ভিত্তিতে অভিযুক্তদের মধ্যে পুরসভা এলাকার চার নেতা-কর্মীর নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের হচ্ছে। বড়বাজারে সরকারি বাসে আগুন ও ভাঙচুরে ইতিমধ্যেই বিজেপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বাসের ক্ষতিপূরণ আদায়ের মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
[বনধের দিনে বোমা পড়ল স্কুলেও! চাঞ্চল্য পাণ্ডুয়ায়]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.