রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য বিজেপির (BJP) সংগঠনে বড়সড় রদবদল। সরিয়ে দেওয়া হল ১৩ জন জেলা সভাপতিকে। মোটামুটিভাবে সংগঠনের রাশ নিজের হাতেই রাখলেন সুকান্ত। কাঁথি-তমলুক-আরামবাগ-নদিয়া দক্ষিণে শুভেন্দু ঘনিষ্ঠরা এলেও সিংহভাগ জেলায় নিজের অনুগতদেরই সভাপতির পদে বসালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
শনিবার বিজেপির তরফে নতুন জেলা সভাপতিদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি, বারাসত, বনগাঁ, ব্যারাকপুর, দক্ষিণ কলকাতা, মথুরাপুর, হাওড়া শহর, তমলুক, কাঁথি, আরামবাগ, বিষ্ণুপুর এবং আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের বদলে দেওয়া হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে যে এলাকায় খারাপ ফলাফল হয়েছিল, এবং যে যে এলাকায় সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও দলের সংগঠনের অবনতি হয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে জেলা সভাপতি বদলেছে গেরুয়া শিবির।
শুভেন্দু অধিকারীর জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের দুটি সাংগঠনিক জেলাতেই বদলেছে সভাপতি। দুই জেলাতেই সভাপতির পদে আনা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠদের। তমলুক জেলা বিজেপির সভাপতি হয়েছেন তাপসী মণ্ডল, কাঁথির জেলা সভাপতি হলেন অরূপ কুমার দাস। বদলেছে পাশের পশ্চিম মেদিনীপুরের ও ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতিও। ঘাটালের হলেন তন্ময় দাস, মেদিনীপুর জেলা বিজেপির জেলা সভাপতি হলেন তাপস মিশ্র।
এমনিতে বিজেপিতে অঘোষিত একটা রীতি মোটামুটি মেনে চলা হত। জনপ্রতিনিধিদের সচরাচর দলের সংগঠনে রাখা হত না। কিন্তু এবারের তালিকায় দেখা যাচ্ছে ৬ জেলায় বিধায়কদের সভাপতি করা হয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক মনোজ টিজ্ঞাও। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরই দিল্লি থেকে ব্লক ও জেলাস্তরে সংগঠনে রদবদলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইমতো ব্লকস্তরে রদবদল হয়েছে ইতিমধ্যেই। সেটা নিয়ে বিস্তর ক্ষোভবিক্ষোভও দেখা গিয়েছে। এখন দেখার জেলা সভাপতি বদলের পর কী হয়!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.