হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
অর্ণব আইচ: পাভলভ হাসপাতালের ছাদ থেকে রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। শুক্রবার সন্ধেয় মহিলা বিভাগের ছাদ থেকে উদ্ধার হয় আশা বর্মা নামে ওই মহিলার দেহ। কীভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে হাসপাতালের ছাদে পৌঁছলেন ওই রোগী? তবে কি ফাঁক ছিল হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই? তা নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তপসিয়া থানার পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, আত্মঘাতী হয়েছেন ওই রোগী।
চলতি বছরের মে মাসের ২৫ তারিখ মানসিক সমস্যা নিয়ে পাভলভ হাসপাতালে ভরতি হন আশা বর্মা নামে বছর চল্লিশের ওই মহিলা। শুক্রবার বিকেলে হঠাৎই হাসপাতালের মহিলা ওর্য়াডের আয়াদের নজরে পড়ে যে, আশাদেবী সেখানে নেই। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। দীর্ঘক্ষণ পর সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ হাসপাতালের ছাদে মহিলার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। জানা গিয়েছে, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলছিলেন ওই মহিলা। দেহ নজরে পড়তেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। মেঝে থেকে অনেকটা উচুতে ছিলেন ওই মহিলা, ফলে দেহ উদ্ধার করতে হাসপাতালে পৌঁছয় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নামানো হয় আশাদেবীর দেহ। আশাদেবীকে নামানোর পরই চিকিৎসকরা জানান মৃত্যু হয়েছে তাঁর। রাতেই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
কিন্তু কীভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে মহিলা বিভাগ থেকে বেড়িয়ে সোজা ছাদে পৌঁছে গেলেন? যে উচ্চতা থেকে দেহটি উদ্ধার করতে দমকলের সহযোগিতার প্রয়োজন হল, কীভাবে সেখানে পৌঁছলেন আশাদেবী? উঠছে প্রশ্ন। তবে কি খামতি ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেই? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তরের সন্ধানে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তপসিয়া থানার পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ঘটনার সময় মহিলা বিভাগের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মী ও অন্যান্য রোগীদের সঙ্গেও কথা বলা হতে পারে বলেই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.