সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন সহ-উপাচার্যের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। খবর প্রকাশ্যে আসতেই টালিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। কীভাবে মৃত্যু হল তাঁর, তা জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ছিলেন আশিস বর্মা। দীর্ঘদিন ধরে সাদার্ন অ্যাভিনিউতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে একাই থাকতেন তিনি। তাঁর দেখাশোনার জন্য ১ জন পরিচারিকা ছিলেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও আশিসবাবুর সমস্ত কাজকর্ম করে বাড়ি চলে যান ওই পরিচারিকা। শনিবার সকালে নিয়মমাফিক ফের ওই আবাসনে যান তিনি। জানা গিয়েছে, এদিন কাজে গিয়ে তিনি দেখেনে আশিসবাবুর ফ্ল্যাটের সদর দরজা খোলা। ভিতরে যেতেই তাঁর নজরে পড়ে, মাটিতে পড়ে আছেন আশিসবাবু। এরপরই চিকিৎসক ও টালিগঞ্জ থানায় খবর পাঠান ওই মহিলা। চিকিৎসক তাঁর আবাসনে পৌঁছে পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আশিস বর্মার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে।
কিন্তু, আশিসবাবুর মৃত্যুর পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। বয়সজনিত অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়নি বলে অনুমান করছেন তদন্তকারীরা। কারণ, পরিচারিকার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দরজা খোলা ছিল ফ্ল্যাটের। অর্থাৎ কেউ রাতে সেখানে এসেছিলেন বলেই মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যের পদে থাকা আশিসবাবুকে খুনের পিছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে ইতিমধ্যেই ওই আবাসনের অন্য বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেওয়া বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই আশিস বর্মার সাদার্ন অ্যাভিনিউ-এর ফ্ল্যাটে গিয়েছে লালবাজারের হোমিসাইড শাখার আধিকারিকরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.