প্রতীকী ছবি।
অর্ণব আইচ: খাস কলকাতার বাগবাজারে নির্মীয়মাণ বহুতলের নীচ থেকে শনিবার সকালে উদ্ধার হয়েছিল এক ব্যক্তির অর্ধদগ্ধ দেহ। সেই ঘটনার রহস্যভেদ করল পুলিশ। কোনও ‘খুন’, ‘আত্মহত্যা’ নয়। নিছক উপরতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। তিনি ওই বাড়ির উপরতলায় বিড়ি খাচ্ছিলেন। সেই বিড়ির আগুনেই তাঁর পরনে থাকা পোশাক জ্বলে যায়। সেজন্যই তিনি অর্ধদগ্ধ হয়েছেন। এমনই জানিয়েছে শ্যামপুকুর থানার পুলিশ। মৃত ওই ব্যক্তির নাম সোমনাথ মুখোপাধ্যায়। ওই এলাকাতেই তাঁর বাড়ি।
পুলিশের দাবি, নির্মীর্ণমাণ বাড়ির তিনতলায় ছাদে ওই ব্যক্তি প্রতিদিন বিড়ি খেতে যেতেন। ঘটনার দিনও একইভাবে তিনি ধূমপানের জন্য ওই ছাদের উঠেছিলেন। বিড়ি ধরানোর সময় কোনওভাবে তাঁর পরনের পোশাকে আগুন ধরে যায়। সেই আগুনে আতঙ্কিত হয়ে খোলা ছাদের কিনারায় চলে গিয়েছিলেন সোমনাথ। সেসময় অসতর্ক হয়ে তিনি সেখান থেকে পড়ে যান। উঁচু থেকে পড়ে যাওয়ার কারণে হাত, পাঁজরের হাড় ভেঙে যায়। তারপরেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে সেই তথ্যই পাওয়া যায়। ওই আগুনে পরনে থাকা পোশাক জ্বলে যায়। সেজন্য শরীরে পোড়া ক্ষত তৈরি হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে পোড়া বিড়ির টুকরোও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া।
গতকাল শনিবার সকাল ন’টার পর বাগবাজারের নিবেদিতা লেনে নির্মীয়মাণ বহুতলের নীচে ওই মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। তখনও ওই ব্যক্তির দেহের আশপাশ থেকে ধোঁয়া দেখা গিয়েছিল। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে। ‘খুন’ নাকি ‘আত্মহত্যা’ সেই প্রশ্ন ওঠে। শ্যামপুকুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। তদন্ত শুরুর পর একদিনের মধ্যে ঘটনার কিনারা করল পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.