অর্ণব আইচ: লালবাজারে ফোন করে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ। তল্লাশি চালিয়ে এক চিত্রগ্রাহককে গ্রেপ্তার করলেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের কাছে অভিযুক্ত যুবক দাবি করেছে, স্রেফ মজা করার জন্য এই কাজ করেছে সে। কিন্তু এই মজার পরিণাম কী হতে পারে তা ধারণা ছিল না তার। অবশ্য এই হুমকি ফোনের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, গোয়েন্দারা তা-ও খতিয়ে দেখছেন ব্যাংকশাল আদালতে ওই যুবককে পেশ করা হলে তাকে একদিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম অর্কপ্রভ গঙ্গোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলার একটি অভিজাত আবাসনের বাসিন্দা সে। মঙ্গলবার রাতে লালবাজারে কন্ট্রোল রুমে একটি ফোন আসে। এক অজ্ঞা পরিচয় ব্যক্তি কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে ফোনে জানায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বিস্ফোরক রাখা আছে বলে তার কাছে খবর আছে। একদিনের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানার আগেই সে ফোন কেটে দেয়। যেহেতু বুধবার লকডাউন ও ভূমিপুজো ছিল, তাই পুলিশ কোন ঝুঁকি নেয়নি। শহরের বিশেষ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পুলিশ ভাল করে তল্লাশি চালায়। এ ছাড়াও বাড়ানো হয় শহরের নিরাপত্তা। কলকাতায় ঢোকা ও বেরোনোর জায়গাগুলি সিল করে দিয়ে অতিরিক্ত নাকা তল্লাশি চালানো হয়। জেরা করা হয় সন্দেহভাজনদের।
একইসঙ্গে যে মোবাইল থেকে ফোন এসেছিল, তার মাধ্যমেই তদন্ত শুরু করেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর আধিকারিকরা। মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকলেও তার কললিস্ট ও টাওয়ার লোকেশন ঘেঁটে গোয়েন্দারা বুধবারই মহেশতলার ওই অভিজাত আবাসনে হানা দেন। জেরা করার পর গ্রেপ্তার করা হয় ওই যুবককে। লালবাজারে নিয়ে আসার পর পেশায় ফ্রিলান্স ওই ফটোগ্রাফার দাবি করে, মদ্যপান করার পর মজা করেই লালবাজারে ফোনটি করেছিল সে। লালবাজারের এক কর্তা জানান, এর আগেও দেখা গিয়েছে যে, মজা করে হুমকি ফোন করা হয়েছে পুলিশকে অথবা অন্য কোন দপ্তরে। ছড়ানো হয়েছে বোমাতঙ্ক। কিন্তু অনেকেই বুঝতে পারেন না যে, এটি গুরুতর অপরাধ। এই ধরনের কাজ করলে সেই ব্যক্তি আইনমাফিক শাস্তিও পাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.