সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “রামচন্দ্রকে অপমান করা যদি দোষের হয় তাহলে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে অপমান করা, তাঁর নাম ভুল বলাও দোষের।” শুক্রবার নাট্যব্যক্তিত্বদের তৃণমূলে যোগদানের জন্য আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে এ কথাই বললেন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তৃণমূল নেতা তথা প্রখ্যাত নাট্যকার বলেন, “অমিত শাহ শুনছি ঠাকুরনগরে যাবেন। আমি মতুয়া ভাইদের অনুরোধ করব, নেতাজি জন্মজয়ন্তীকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসে মতুয়া ভাইদের আরাধ্য দেবতা শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরকে হরিশ্চন্দ্র ঠাকুর বলে উল্লেখ করেছেন। তার জন্য আমার অনুরোধ, মতুয়া ভাইরা যেন একবার অমিত শাহকে কালো পতাকা দেখান।”
শুক্রবারের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন শেখর সমাদ্দার, গৌতম মুখোপাধ্যায়, বিজয় মুখোপাধ্যায়, অনীশ ঘোষের মতো একাধিক নাট্যব্যক্তিত্ব। ব্রাত্য বসুর পাশাপাশি বৈঠকে ছিলেন অর্পিতা ঘোষও। তাঁকে পাশে রেখেই ব্রাত্য বসু জানান, মুম্বইয়ের গায়ককে বিজেপি যোগদান করাতেই পারে। কিছু ফিল্মস্টারও যোগ দিতে পারেন। কিন্তু বাংলায় প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বদের হাতে গেরুয়া পতাকা তোলাতে পারবে না। শুধু কলকাতা কেন্দ্রিক নাট্যকর্মীরাই নন, জেলায় জেলায় সবস্তরের নাট্যজগতের মানুষরা তৃণমূলে যোগ দেবেন বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার ‘পিএম কিষান’ প্রকল্প বাংলার কৃষকরা কেন পাচ্ছেন না? সেই প্রশ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বিঁধে টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই প্রসঙ্গ উঠতেই ব্রাত্য বসু জানান, “রাজ্যপাল যদি দয়া করে সিঙ্ঘু বর্ডারে যাঁরা বসে আছেন এতদিন ধরে তাঁদের জন্য কোনও প্রকল্প ঘোষণা করলে ভাল হয়। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে ওঁকে ভাবতে হবে না। সংসদে রাষ্ট্রপতি ভাষণ নিয়েও মন্তব্য করেন তৃণমূল নেতা। বলেন, “ভাষণে গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলা হচ্ছে, আর কৃষকদের বাঁচানোর কথা বলা হচ্ছে না। কৃষকরা যদি না বাঁচে গণতন্ত্র টিকবে কী করে?”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.