গোবিন্দ রায়: ধোপে টিকল না পুলিশি বাধা। শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি(Sandeshkhali) যাওয়ার অনুমতি দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সঙ্গে যেতে পারবেন বিধায়ক শংকর ঘোষ। তবে কোনও কর্মী বা সমর্থক যাতে এলাকায় প্রবেশ করতে না পারেন, পুলিশকে সেদিকে নজর দেওয়ার নির্দেশ আদালতের।
দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয়দের ক্ষোভের আগুনে জ্বলছে সন্দেশখালি। এর আগে দুবার সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েও পৌঁছতে পারেননি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৪৪ ধারাকে হাতিয়ার করে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। জল গড়ায় আদালতে। সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেই মামলার শুনানিতে শর্ত সাপেক্ষে বিরোধী দলনেতাকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেয় আদালত। তবে নির্দিষ্ট কয়েকটি জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোনও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিতে পারবেন না শুভেন্দু অধিকারী, এমনটাই সাফ নির্দেশ দেওয়া হয়।
আদালতের নির্দেশ মেনে মঙ্গলবার সন্দেশখালির পথে রওনা দিয়েও পুলিশি বাধার মুখে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী, শংকর ঘোষেরা। ধামাখালিতে তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। বিজেপি-পুলিশের অশান্তিতে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রাস্তায় বসে পড়েন বিরোধী দলনেতা। ধামাখালিতে অবস্থান চলাকালীনই পুলিশি বাধার প্রতিবাদে আদালতের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু অধিকারীর আইনজীবী। সেখানেই শুভেন্দু অধিকারী ও শংকর ঘোষকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতির। তবে কোনও কর্মী-সমর্থক যেতে পারবেন না সন্দেশখালি। এলাকায় যাতে অশান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে পুলিশকেই। আদালতের নির্দেশ মেনে জলপথে ধামাখালি থেকে সন্দেশখালির পথে রওনা হন বিরোধী দলেনতা। পৌঁছে কথা বলেন এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। মুছে দেন নির্যাতিতাদের চোখের জল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.