গোবিন্দ রায়: দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) মুক্ত হতে আরও ২-৩ বছর সময় লাগবে পর্ষদের। নিয়োগ দুর্নীতির শুনানির মাঝে মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সুপ্রিম কোর্ট থেকে পাওয়া রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন জানানোর পরামর্শও দেন বিচারপতি।
বৃহস্পতিবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির একটি মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে। মনে করিয়ে দেওয়া হয় রক্ষাকবচের বিষয়টিও। এরপরই রক্ষাকবচ খারিজের আবেদন করার কথা বলেন বিচারপতি। বলেন, “আমাকে কি আবার সিট পুর্নগঠন করতে হবে?” নিয়োগ দুর্নীতিতে যে মানিক ভট্টাচার্যের ভূমিকা অনেকটাই এদিন ফের তা বুঝিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “দুর্নীতি ও মানিক ভট্টাচার্যের ছটা মুক্ত হতে পর্ষদের আরও ২ থেকে ৩ বছর সময় লাগবে।”
মানিক ভট্টাচার্যের জায়গায় গৌতম পাল পর্ষদ সভাপতির দায়িত্ব হাতে নিয়েই জানিয়েছিলেন, সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে হবে নিয়োগ পরীক্ষা। চাকরি হবে যোগ্যদের। কিন্তু এদিনের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য যেন প্রশ্ন তুলে দিল, আদৌ কি এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ নিয়োগ সম্ভব?
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইয়ের (CBI) গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। সেই মামলায় রক্ষাকবচও পান মানিক ভট্টাচার্য। শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, সিবিআই তদন্ত চালিয়ে গেলেও মানিকের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কোন পথে তদন্ত চলছে, তদন্তের অগ্রগতি কত দূর, কোন পথে এগোতে চাইছে সিবিআই (CBI), সেই রিপোর্টে দিতে হবে সুপ্রিম কোর্টে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.