ফাইল ছবি
গোবিন্দ রায়: টাকা নিয়ে ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজের আবেদন নিয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিতর্কিত প্রোমোটার ভোলা পাইক। এফআইআর খারিজের পরিবর্তে উলটে মামলায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগের মামলায় হাই কোর্টের রোষের মুখে নরেন্দ্রপুর থানার তদন্তকারী অফিসারও। জলা বুজিয়ে বাইপাসের ধারে বহুতল গড়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সাত আট বছর আগে ধাপে ধাপে নগদে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। অথচ এই একই মামলায় আদালতের প্রশ্নের উত্তরে ওই তদন্তকারী অফিসার নগদে টাকা দেওয়ার তথ্য লুকিয়ে যান আদালতের কাছে। তার প্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, এক রাতের মধ্যে কী এমন ঘটলো, কে তাঁকে কী ইনস্ট্রাকশন দিল যার জন্য তিনি আজ এই তথ্য আদালতকে জানালেন, তা বোধগম্য হচ্ছে না পুলিশের।
বিচারপতি আরও বলেন, একজন ব্যক্তি সাত-আট বছর আগে ২৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরে কীসের কারণে এতদিন চুপ করে বসেছিলেন, স্পষ্ট নয়। আবার হঠাৎ এক গভীর রাতে থানায় গিয়ে অভিযোগ করলেন। আর পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে এফআইআর করল সেটাও স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় এই মামলার তদন্ত সিআইডি কে দেওয়া হল। কেস ডায়েরি-সহ যাবতীয় নথি নরেন্দ্র পুর থানাকে সিআইডির হতে তুলে দিতে হবে। আগামী শুনানিতে ২৬ এপ্রিল সিআইডি কে এনিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে। একইসঙ্গে, রাজ্যকে এই নিয়ে তাদের বক্তব্য আগামী শুনানিতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.