ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বউবাজার বিস্ফোরণ কাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত বন্দি মহম্মদ খালিদের মুক্তির জন্য বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশের উপর এবার স্থগিতাদেশ জারি করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের আবেদনের ভিত্তিতেই এই নির্দেশ আদালতের।
১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে ২৬৭ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দোতলা বাড়িটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যায়। মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। সেই মামলায় একদা কলকাতার সাট্টা কারবারের ‘বেতাজ বাদশা’ রশিদ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। বলা হয়, রশিদ খানের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা গোটা কলকাতা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মহম্মদ খালিদ সেই রশিদের ছায়াসঙ্গী। ওই মামলায় তাঁকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। কয়েক বছর আগে খালিদ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের ‘সেনটেন্স রিভিউ বোর্ডে’ আবেদন করে। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয় খালিদ (Mohammad Khalid)।
খালিদের দাবি ছিল, তিন দশকের জেলজীবনে তাঁর চারিত্রিক পরিবর্তন হয়েছে। তাতে আদালত জানায়, ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড। বলে রাখা ভালো, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারের একটি ‘সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড’ বা সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ রয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া বন্দির আচার-ব্যবহার কেমন, কতটা বদল হয়েছে তাঁর মানসিকতার, তিনি যে-অপরাধে জেল খাটছেন, সেই সাজা এত দিনে যথেষ্ট হয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় তাঁর মুক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সাজা খাটার ১৪ বছর পরে সরকারের সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট বন্দির মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করে। খালিদের ক্ষেত্রে জেলযাত্রার পর ৩১ বছর কেটেছে। সেটা বিবেচনা করেই ১৫ দিনের মধ্যে তাকে মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত। সেই নির্দেশের উপরেই স্থগিতাদেশ জারি করল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.