ক্ষীরোদদীপ্তি ভট্টাচার্য: সামনেই বামশাসিত ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। তাই দলের ঐক্য তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে ভোটাভুটি এড়াতে চেয়েছিলেন সিপিএম নেতৃত্ব। তা তো হলই না, উলটে ভোটাভুটিতে খারিজ হয়ে গেল ইয়েচুরিপন্থীদের ধর্মনিরপেক্ষ জোটের প্রস্তাব। ৫৫-৩১ ভোটে কারাটপন্থীদের একলা চলার প্রস্তাবে সায় দিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যরা। বর্তমানকে টেক্কা দিলেন প্রাক্তন। এখন একলা চলার প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হবে পার্টি কংগ্রেসে। এদিকে, কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে রীতিমতো হতাশ সীতারাম ইয়েচুরি। সূত্রের খবর, একসময় দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফাও দিতে চেয়েছিলেন তিনি। ইয়েচুরিকে কোনওমতে নিরস্ত্র করেন রাজ্যের সিপিএম নেতারা।
[তারাতলা গণধর্ষণ কাণ্ডে নয়া মোড়, ধৃতদের মোবাইলে মিলল অত্যাচারের ফুটেজ]
কংগ্রেস না বিজেপি? কে বড় শক্র? এই প্রশ্নে এখন আর কোনও দ্বিমত নেই সিপিএমের অন্দরে। সকলেই মেনে নিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের আটকানোটাই এখন দলের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। কিন্তু, রাজনৈতিক রণকৌশল নিয়ে প্রকাশ কারাট ও সীতারাম ইয়েচুরির মতপার্থক্য ছিল। ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক জোট গড়ে বিজেপি সঙ্গে লড়াই করার পক্ষপাতি ছিলেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে আবার প্রবল আপত্তি ছিল প্রাক্তন প্রকাশ কারাটের। তাঁর যুক্তি, বিজেপি এখন বড় বিপদ ঠিকই। কিন্তু কংগ্রেসও বুর্জোয়া দল। মতপার্থক্য এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যে রবিবার কলকাতা কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দুটি আলাদা খসড়া প্রস্তাব করেন সিপিএমের সাধারণ সীতারাম ইয়েচুরি। দীর্ঘ আলোচনায় ঐক্যমতে পৌঁছতে পারেননি কমিটির সদস্যরা। শেষপর্যন্ত, ভোটাভুটি হয়। তাতেই ৫৫-৩১ ভোটে খারিজ হয়ে যায় ধর্মনিরপেক্ষ জোটের প্রস্তাব। সিদ্ধান্ত হয়েছে, পার্টি কংগ্রেসের একলা চলার খসড়া নিয়েই আলোচনা হবে। সূত্রের খবর, এদিন কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে ৯০ জন সদস্য ছিলেন। ভোটদান থেকে বিরত থাকেন ৪ জন সদস্য। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্তে হতাশ সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। এমনকী, ভোটাভুটির পর ইস্তফাও দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কোনওরকমে ইয়েচুরিকে নিরস্ত্র করেন বঙ্গ সিপিএমের নেতারা।
[পিকনিকে গিয়ে গঙ্গায় নিখোঁজ ফ্লোটেলের কর্তা, দানা বাঁধছে রহস্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.