অভিরূপ দাস: করোনা কালে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে ধুন্ধুমার। তবে এবার আর চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ নয়। এবার রোগীর পরিবারের অভিযোগ এক্কেবারে অন্যরকম। তাঁদের দাবি, রোগীর কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে পরিজনদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে খোদ হাসপাতালের নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। আর সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শনিবার দুপুরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় আরজি কর হাসপাতাল (R.G.Kar Medical College & Hospital) চত্বর।
আগে নির্দিষ্ট সময়ে রোগীদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন পরিজনরা। সেই সময় প্রয়োজন মতো খাবারও রোগীর কাছে পৌঁছে দিতে পারতেন তাঁরা। তবে করোনা (Coronavirus) আবহে সংক্রমণ এড়াতে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাতের ক্ষেত্রে কিছুটা রাশ টানা হয়েছে। রোগীর পরিবারের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তই কার্যত ‘আশীর্বাদের’ কাজ করেছে নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের। তাঁরা এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোগীর কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে কখনও ৫০০ আবার কখনও ৬০০ টাকা দাবি করছে। রোগীর পরিজনেরা দাবিপূরণ না করলে খাবার পৌঁছেও দেওয়া হচ্ছে না বলেই অভিযোগ।
একটানা বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন সমস্যার সম্মুখীন রোগীর পরিজনেরা। শনিবার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় তাঁদের। হাসপাতালের তিন নম্বর দরজার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় হাসপাতাল চত্বর। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ কয়েক দফায় লাঠিচার্জও করে পুলিশ। তার ফলে বেশ কয়েকজন রোগীর আত্মীয় জখম হন। যদিও লাঠিচার্জের ঘটনাটিকে মোটেও ভাল চোখে দেখছেন না রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen)। অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.