সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যাদবপুরের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে তোলপাড় রাজ্য। ঠিক কী হয়েছিল, তা জানতে মরিয়া তদন্তকারীরা। এসবের মাঝেই রবিবার সন্ধেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেল পরিদর্শনে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেখান থেকেই হস্টেলের চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা।
রবিবার সকালে প্রথমে নদিয়ায় স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর বাড়িতে যান রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। এরপর সন্ধেয় তাঁরা যান বিশ্ববিদ্যালয় ও হস্টেলে। ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়েই ছাত্রদের দাদাগিরি নিয়ে সরব হন তাঁরা। জানান, ছাত্রদের দাপটে কার্যত খানিকটা নিরুপায় হস্টেল কর্তৃপক্ষ। হস্টেলের দোতলায় কিছু সমস্যা আছে বুঝতে পেয়ে আগে একবার সুপার উপরে ছিলেন। যার পরিণতি একেবারেই ভাল হয়নি। ছাত্ররা সারারাত তাঁকে আটকে রাখে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, তাঁকে লিখে দিতে হয়েছিল যে মোবাইল চুরি করতে উপরে গিয়েছিলেন তিনি।
হস্টেলে ছাত্রদের আসা-যাওয়ার রেকর্ড রাখার জন্য রেজিস্টারও ছিল। কিন্তু তা কার্যকর করতে দেয়নি ছাত্ররাই। তাঁদের সাফ কথা ছিল, বারবার তার যাওয়া আসার হিসেব দিতে পারবে না। এমনকি সিকিউরিটি গার্ডরা রাতেও মূল গেট বন্ধ করার অনুমতি পেতেন না। কারণ ছাত্ররা যখন খুশি বেরবে, তা বাধা দেওয়া যাবে না। এদিন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশও মানা হয়নি ওই হোস্টেলে। প্রথম বর্ষের ছাত্রদের জন্য আলাদা হস্টেল বা বাড়তি নজরদারি, কোনওটাই হয়নি। ছিল না সিসিটিভিও। যার পরিণতি স্বপ্নদীপের মৃত্যু। সব মিলিয়ে বারবার উঠে আসছে ছাত্রদের দাদাগিরিই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.