সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ সন্তোষ রানার জীবনাবসান। শনিবার সকাল ছ’টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নকশাল আন্দোলনের অন্যতম মুখ সন্তোষ রানা। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি।
১৯৪৪ সালে মেদিনীপুরের গোপীবল্লভপুরে জন্মগ্রহণ করেন সন্তোষবাবু। ছয় এবং সাতের দশকের উত্তাল সময়ে বাংলায় নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি অন্যতম নাম সন্তোষ রানা। নকশালবাড়ি আন্দোলনে চারু মজুমদারের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন তিনি। পড়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজে। তখনই বামপন্থী রাজনীতিতে প্রবেশ। তারপর মতাদর্শগত বিরোধে সশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নেন তিনি। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার বাংলায় প্রথমবার ক্ষমতায় আসে। সেইসময় গোপীবল্লভপুর বিধানসভা থেকে সিপিআইএমএল-এর বিধায়ক নির্বাচিত হন সন্তোষ রানা। দীর্ঘদিন রাজনৈতিক বন্দি হিসাবে কারাগারে থেকেছেন। জেলে থাকাকালীনই তিনি ১৯৭৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেন।
[আরও পড়ুন: ‘যোগ্য সম্মান পাননি দাদু’, সোনিয়া-রাহুলকে ক্ষমা চাইতে বললেন নরসিমা রাওয়ের নাতি]
নয়ের দশকে রাজনীতির মূলস্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান তিনি। কিন্তু নকশাল আন্দোলন নিয়ে প্রচুর লেখালেখি করতেন। একাধিক নিবন্ধ লিখেছিলেন। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী) সশস্ত্র বিপ্লবের পথ ত্যাগ করে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করায় প্রচুর নিবন্ধ লিখেছিলেন সন্তোষবাবু। নেপালের মাওবাদী নেতা বাবুরাম ভট্টরাই-এর লেখা ‘সন্ত্রাসের জনযুদ্ধ বনাম গণতন্ত্রের লংমার্চ’-এর পক্ষে কলম ধরেছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে ‘রাজনীতির এক জীবন’ বইয়ের জন্য আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন সন্তোষ রানা। তাঁর শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী দেহ দান করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.