সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরও উন্নতির লক্ষ্যে ডাক্তারদের সঙ্গে বিশেষ আলোচনা সভা ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার আলিপুরের ধনধান্যে স্টেডিয়ামে তাঁর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে বহু চিকিৎসক হাজির হয়েছেন। আর জি করের ঘটনায় রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো নিয়ে যে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, তাতে প্রলেপ দিতে এই বৈঠক বলে কটাক্ষ করছিলেন অনেকে। তবে কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, এই বৈঠক অন্যান্য নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠল। বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ব্যাখ্যা করে জানালেন, কেন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনিই।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিশানায় বাম আমলের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। তাঁর কথায়, ”বাম আমলে স্বাস্থ্য নিয়ে অবহেলা হয়েছে। এতদিন একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাস্থ্যদপ্তর সামলাতেন। কিন্তু সব দিক নজরে রেখে উন্নয়ন কখনও একজন প্রতিমন্ত্রী করতে পারেন না। এখন আমিই দপ্তরটার দায়িত্ব নিয়েছি। কারণ হাজারটা ভালো কাজের মধ্যে একটা খারাপ কাজ হলে সেটা নিয়েই আলোচনা হয়। খারাপ করতে এক সেকেন্ড সময় লাগে। অপপ্রচার এত তাড়াতাড়ি হয়…আগে সোশাল নেটওয়ার্ক ছিল না। এখন তো ফেক ভিডিওর মতো ফেক মেডিসিনও বেরিয়েছে।”
২০১১ সালে রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসার পর স্বাস্থ্যে আমূল বদল করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। সরকারি হাসপাতালগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প-সহ একাধিক সুবিধা পান রাজ্যবাসী। সেসব কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”বাম আমলে স্বাস্থ্যের দিকে একেবারে নজর দেওয়া হয়নি। তখন মানুষ ঠিকমতো পরিষেবা পেতেন না। এখন আমি নিজের হাতে দপ্তরটা নিয়েছি। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করেছি। এখন আর চিকিৎসার অভাবে কারও সমস্যা হয় না। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে দূরে পাড়ি দিতে হয় না। সব জায়গায় সেই ব্যবস্থা করেছে সরকার।”
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের অবশ্য তীব্র বিরোধিতা করেছেন সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালে গেলে পরিষেবা পাওয়া যায় না। শুধু দুর্নীতি চলে। আর উনি সেই দুর্নীতি ভালোভাবে চলতে সাহায্য করেন। বাম আমলে এসব ছিল না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.