সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি চিকিৎসক। সমাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্রত পালনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যে কোনও বিপদে মানুষের পাশে থাকাই যাঁর কাজ। প্রধান ধর্ম সেবা, তারপর অন্য সব কিছু। একজন চিকিৎসকের পরিচয়, কর্ম সাধারণত এই পথেই হাঁটে। কিন্তু এই সংকটের মুহূর্তে একজন চিকিৎসক যখন অযথা অন্য কোনও বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চা করেন, তখন তা নিয়ে সমালোচনাই স্বাভাবিক। যেমনটা হচ্ছে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তার অর্চিস্মান ভট্টাচার্যকে নিয়ে। তাঁর ধর্মবিদ্বেষী একটি পোস্ট নিয়ে চলছে তুমুল সমালোচনা।
ডাক্তার অর্চিস্মান ভট্টাচার্য এমনিতে সাধারণ এক চিকিৎসক। তেমন পরিচিত মুখ ছিলেন না এতদিন। কিন্তু গত বছর এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের বিক্ষোভ চলাকালীন যে বড়সড় আন্দোলন তৈরি হয়, তার পুরোভাগে দেখা গিয়েছিল অর্চিস্মানকে। তিনিই পরবর্তী সময়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা আলোচনায় বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধি হিসেবে কথা বলেছিলেন। তখন তাঁর মুখে শোনা গিয়েছিল যে তিনি রোগীর পদবি দেখে চিকিৎসা করেন না। মানুষের সেবাই তাঁদের কাজ, তাই চিকিৎসা পরিষেবা জারি রাখতে চান। তবে অযাচিত আক্রমণের মুখোমুখি হতে চান না। মুখ্যমন্ত্রীও চিকিৎসকদের সুরক্ষার সবরকম আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের কাজে ফেরান। সেই থেকে অর্চিস্মান ভট্টাচার্যের পরিচিতি তৈরি হয়েছে।
করোনা সংকটে ভুগছে গোটা দেশ। চিকিৎসকদের দায়িত্ব আরও বেড়েছে। আর এমন গুরুত্বপূ্র্ণ সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অর্চিস্মান যা পোস্ট করলেন, তাতে তাঁর দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে। পোস্টের ছবিতে দেখা যাচ্ছে – একটি সাপের মাথায় ফেজটুপি। সাপটি থুতু ছুঁড়ছে। তার নিচে অর্চিস্মানের লেখা – ”খুব চেনা লাগছে…কিন্তু কী সেটা মনে আসছে না…মানুষ চারিদিকে এত প্লাস্টিক ছড়িয়েছে, এত পলিউশন…দেখুন একটি সাপের মাথায় প্লাস্টিক আটকে গেছে…নেচার উই টেক রিভেঞ্জ। বিট প্লাস্টিক।”
অর্চিস্মানের এই পোস্টের ইঙ্গিত যে কী, তা বুঝতে বাকি ছিল না কারও। ফলে শুরু হয় বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের মুখে পড়ে তড়িঘড়ি পোস্টটি সরিয়ে নেন তিনি। পরে আরেকটা পোস্টে সাফাই দেন যে তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। উলটোপালটা পোস্টে নজর না দেওয়ার পরামর্শ দেন বন্ধুদের।
তবে এতে বিশেষ কাজ হয়নি। পরের পোস্টটি যে নিতান্তই অর্চিস্মানের সাফাই, তা একেবারে জলের মতোই স্পষ্ট। তরুণ চিকিৎসকের প্রতি অনেকেরই পরামর্শ, এই সময়ে সেবার কাজে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.