রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: মর্গ থেকে ময়নাতদন্তের পর ‘চুরি’ গেল নানুরের বিজেপি কর্মীর দেহ। অভিযোগ, নিহতের পরিবারের সম্মতি ছাড়াই আইন বহির্ভূতভাবে দেহ এনআরএস থেকে সরিয়ে ফেলা হয় অন্যত্র। পুলিশকে ‘চোর’ তকমা দিয়ে এন্টালি থানায় অভিযোগ দায়ের স্বরূপ গড়াইয়ের স্ত্রীর। ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার ভাবনা বিজেপির। বীরভূমের পুলিশ সুপারের দপ্তরে ধরনা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাতে। ওইদিন রাতে বীরভূমের নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন স্বরূপ গড়াই নামে ওই বিজেপি কর্মী। আরও বেশ কয়েকজন ছিলেন তাঁর সঙ্গে। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই চায়ের দোকানে বোমাবাজি করা হয়। এরপরই স্বরূপকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলি লাগে ওই বিজেপি কর্মীর বুকে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পার্ক সার্কাসের কাছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই রবিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এনআরএসের মর্গে সোমবার তাঁর দেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহতের স্ত্রী চায়নার দাবি বিজেপির রাজ্য দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। তাতেই আপত্তি জানায় পুলিশ। এনআরএসে এই নিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। তবে সোমবার গভীর রাতে ২২টি গাড়ির কনভয় করে স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় নানুরে। নোটিস দিয়ে স্বরূপের পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় সিয়ান হাসপাতালের মর্গে রাখা রয়েছে দেহ। তবে মঙ্গলবার সকালে দেহ ফেরত নিতে এনআরএস হাসপাতালে চলে আসেন নিহতের স্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ চুরি করেছে। অনুপম আরও বলেন, “স্বরূপ গড়াইয়ের দেহ শ্যালকের হাতে দেওয়ার কথা ছিল। পুলিশ তা না করে কার অনুমতিতে দেহ নানুরে নিয়ে গেল? মৃতের পরিবারকে অন্ধকারে রেখে কেন পুলিশ দেহ নিয়ে চলে গেল?”
যদিও পুলিশের দাবি, দেহ ফেরত দেওয়ার জন্য পরিবারের লোকজনকে খোঁজা হয়েছিল। তবে না পেয়েই ২২টি গাড়ির কনভয়ে করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সিয়ান হাসপাতালে। বিজেপি যদিও এই যুক্তি মানতে নারাজ। পুলিশের বিরুদ্ধে দেহ চুরির অভিযোগের ভিত্তিতে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.