মণিশংকর চৌধুরি: তবে কি দেশ করোনার তৃতীয় স্টেজে পা রাখছে? মঙ্গলবার নতুন করে প্রশ্নটা উঠে গেল। কারণ এবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শহরের দুই ফুটপাথবাসী। তাঁদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ নেই বিদেশযাত্রার।
শহরের দুই প্রান্ত মধ্য কলকাতার বউবাজার ও বন্দর এলাকায় মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা ওই দু’জনই ভিক্ষাজীবী। কীভাবে তাঁদের শরীরে করোনা ভাইরাস মিলল, কীভাবে তাঁরা আক্রান্ত হলেন, এখনও স্পষ্ট নয়। গোটা বিষয়টি নিয়ে সন্ধান চলছে। তাঁরা কোনওভাবে ভিনরাজ্য বা বিদেশ ফেরত কোনও বাসিন্দার সংস্পর্শে এসেছিলেন কি না অথবা তাঁরা কতজনের মুখোমুখি হয়েছেন, খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেই তথ্যও। যাঁরা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, তাঁদের মধ্যে অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও পুলিশকর্মী-সহ কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল বউবাজারের পুলিশকর্মীরা কবিরাজ রো-এ এক ভিক্ষাজীবীকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করেন। জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। এনআরএস হাসপাতালে ভরতি করার পর তাঁর লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সোমবার রাতে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর মঙ্গলবার তাঁকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি করা হয়। অন্য ঘটনায় গার্ডেনরিচের টুকরাপট্টির ফুটপাথ থেকে একজনকে নাদিয়ালের হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ওই অসুস্থ আদতে মেটিয়াবুরুজের বাসিন্দা বলে জানা যায়। তাঁরও সোয়াব পরীক্ষায় পাঠানোর পর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। যে জায়গাগুলিতে তাঁরা থাকতেন ও যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, সেই জায়গাগুলি স্যানিটাইজ করা হয়। যদিও সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত এই দু’জন করোনা আক্রান্তের বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
এই ঘটনার জেরে শহরের ফুটপাথবাসীদের নাইট শেল্টারে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকের ঘর থাকা সত্ত্বেও গরমকালে ফুটপাথে গিয়ে শুয়ে থাকেন। তাঁদেরও ঘরেই থাকতে বলা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.