সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: COVID-19-এর প্রকোপ থেকে বাচতে গোটা দেশ লকডাউনে। গৃহবন্দি সবাই। রোজগারের পাশাপাশি টান পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষগুলির ভাঁড়ারেও। শ্রমিক, রিকশাচালক, ফুটপাতবাসীদের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে ইতিমধ্যেই পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর পথ অনুসরণ করেই এই কঠিন পরিস্থিতিতে যৌনকর্মীদের সহায়তায় এগিয়ে এলেন শশী পাঁজা।
সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ নীলমণি মিত্র স্ট্রিটের যৌনকর্মীদের হাতে চাল, ডাল, আটা ও আলুর প্যাকেট তুলে দিলেন রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী তথা শ্যামপুকুরের বিধায়ক শশী পাঁজা। দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সহযোগীতায় সোনাগাছির যৌনকর্মী ও শিশুদের হাতে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করলেন তিনি। করোনা সতর্কতার অঙ্গ হিসেবে মাস্কও বিতরণ করা হয় ওই এলাকায়। সবমিলিয়ে প্রায় দেড় হাজার জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় খাবারের প্যাকেট। শশীর এই উদ্যোগে ইসকনও যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সেকথাও জানিয়েছেন তিনি। সোমবার দুর্বার মহিলা সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে ইসকনের সহায়তায় যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী নিজে হাতে বিতরণ করেন মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সোমবার খাদ্যসামগ্রী বিলি করার পর মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন দুপুর ১২ টা থেকে এলাকার যৌনকর্মী ও তাদের পরিবারের জন্য মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা থাকছে বলেও ঘোষণা করেছেন তিনি। শশী পাঁজা প্রসঙ্গত, করোনা আতঙ্ক ছড়াতেই সোনাগাছিতে কমেছিল খদ্দেরের আনাগোণা। উপরন্তু গোটা দেশে লকডাউন জারি হওয়ায় বর্তমানে উপার্জন একেবারে থমকে গিয়েছে। ফলে যৌনকর্মীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। একে খদ্দের নেই, তায় আবার লকডাউনের জেরে ভাঁড়ারে টান! অতঃপর তাঁদের খাদ্যসমস্যার সুরাহা করতেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন এলাকার বিধায়ক শশী পাঁজা।
লকডাউনের জেরে এই কঠিন পরিস্থিতিতে যৌনকর্মীদের সাহায্যের পাশাপাশি নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের আওতাভুক্ত পোস্তা বাজার, খোট্টা বাজার ও নতুন বাজার এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা। সাধারণ মানুষ যথাযথ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটি করছে কিনা সেদিকেও নজর দেন বিধায়ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.