শুভঙ্কর বসু: গর্ভের ভ্রুণ অসুস্থ! বাঁচার তো সম্ভাবনা তো নেইই, বরং গর্ভপাত করানো না হলে প্রাণসংশয় হতে পারে গৃহবধূর। মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবারের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী। সেদিনই মামলার পরবর্তী শুনানি।
[রিহ্যাবে হিংস্র কুকুর পাহারা দিচ্ছে রোগীদের, চাঞ্চল্য বিধাননগরে]
ঘটনাটি ঠিক কী? মামলার বয়ান মোতাবেক, কলকাতার যোধপুর পার্কের বাসিন্দা এক গৃহবধূ ২৪ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্ত্বা। কিন্তু, সম্প্রতি ডাক্তারি পরীক্ষায় জানা দিয়েছে, তাঁর গর্ভের ভ্রুণ ঠিকমতো বাড়েনি। মামলাকারীর দাবি, গত ২৬ ডিসেম্বর এসএসকেএমের অধ্যাপক সুদীপ সাহা প্রেসক্রিপশনে লিখে দিয়েছেন যে, শিশুটি ভুমিষ্ঠ হলেও বাঁচার সম্ভাবনা নেই। এমনকি, মাতৃগর্ভেও তার মৃত্যু হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে প্রাণ সংশয় হতে পারে ওই গৃহবধূর। অন্য এক চিকিৎসকও একই কথা বলেছেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা যখন গর্ভপাতের পরামর্শ দেন, তখন ভ্রুণের বয়স ২২ সপ্তাহ। এই পরিস্থিতিতে ওই মহিলার জীবন রক্ষার স্বার্থে গর্ভপাতের অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে। কারণ, এদেশের ভ্রুণের বয়স ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পর গর্ভপাত আইনত অপরাধ। সেক্ষেত্রে একমাত্র আদালতের অনুমতি নিয়ে গর্ভপাত করানো যায়। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হয় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর এজলাসে। শুক্রবার মেডিক্যাল বোর্ডের কাছে রিপোর্ট তলব করল আদালত। ভ্রুণের বয়স ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে যাওয়ার পরও গর্ভপাত এদেশে নতুন নয়। গত বছরের জুলাই মাসেই এ রাজ্যেরও ২৬ সপ্তাহের অন্তঃস্বত্ত্বা এক গৃহবধূকে ‘বিশেষ পরিস্থিতি’তে গর্ভপাতের অনুমতি দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
[ মাকে মার বাবার, রুখে দাঁড়িয়ে প্রহৃত মেয়েও
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.