ফাইল ছবি।
অর্ণব আইচ: আর জি কর মামলায় বড় ধাক্কা সিবিআইয়ের। সন্দীপ ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জেলে গিয়ে কতবার জেরা করা হয়েছে? জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সমস্যা কী? সেই প্রশ্ন তোলা হয়। এর পরই আর্জি প্রত্যাহার করে সিবিআই। সেক্ষেত্রেও দেখা যায় একাধিক ত্রুটি। সিবিআই হেফাজতের আর্জি প্রত্যাহার করলেও পিটিশনে প্রথমে জেল হেফাজতের সময়সীমা বাড়ানো বা পুলিশ হেফাজতের কথা বলেনি সিবিআই। যা নিয়ে বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় তাঁদের। সিবিআইয়ের এই ভূমিকায় ক্ষুব্ধ আদালত।
সোমবার শিয়ালদহ আদালতে ছিল আর জি কর মামলার শুনানি। সেখানেই আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ৩ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানানো হয়, সিসিটিভি ফুটেজ ও মোবাইল খতিয়ে বেশ কিছু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে। সেগুলো যাচাই করতে সন্দীপ ও অভিজিৎকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান। সেখানেই সন্দীপের আইনজীবী দাবি করেন, এর আগে সিবিআই সন্দীপকে নিজেদের হেফাজতে নিলেও কোনও জেরা করেনি। পালটা আদালতের তরফে সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয় যে, জেলে গিয়ে কদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জেলে জিজ্ঞাসাবাদে সমস্যাই বা কী? এর পরই সিবিআই তাঁদের পিটিশন প্রত্যাহার করে।
নতুন পিটিশন দেখে কার্যত মাথায় হাত বিচারকের। দেখা যায়, সিবিআই হেফাজতের আর্জি প্রত্যাহারের পর যে পিটিশন পেশ করা হয়েছে, তাতে নেই জেল বা পুলিশ হেফাজতের কথা। এর পরই সন্দীপের আইনজীবী বলেন, সেক্ষেত্রে তারা জামিনের আর্জি করতেই পারেন। এই ঘটনার জন্য সিবিআইকে প্রবল ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়। অবশেষে আদালতে দুজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের আবেদন করে সিবিআই। রীতিমতো কড়া ভাবে বিচারক বলেন, “পরেরবার আদালতে আবেদন করার সময় আর এরকম ভুল করবেন না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.