ছবিটি প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। সরকারি হাসপাতালের ব্যবস্থা নিয়ে অনেকে আপত্তি জানিয়েছেন। কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে ইটালি ফেরত ১৪২ জনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পাঠানো নিয়ে প্রচণ্ড ঝামেলা হয়। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধার অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাও নামানো হয়। এপার বাংলাতেও যাতে সেই রকম কোনও সমস্যা না দেখা দেয় তার জন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নিল রাজ্য সরকার। কলকাতা, রাজারহাট ও নিউটাউন এলাকায় থাকা মোট ৩১টি হোটেলে সুলভ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তরফে হোটেল ও রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইস্ট্রান ইন্ডিয়া(HREEI)-র কাছে অর্থের বিনিময়ে তাদের কিছু ঘর কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের জন্য দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। যাঁদের ১৪ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। তাঁরা ইচ্ছা করলে যাতে নিজেদের খরচে স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যে দিয়ে দিনগুলি কাটাতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ৩১টি হোটেল স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশিকা মেনে এই ধরনের ব্যবস্থা করতে রাজি হয়েছে। এর ফলে যাঁদের সামর্থ্য রয়েছে তাঁরা ওই সুবিধা নিয়ে পারবেন। সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্য ওই হোটেলগুলির নাম ও খরচের তালিকাও প্রকাশ করেছে সরকার। তাতে দেখা গিয়েছে, প্রতিদিন দেড় হাজার টাকা থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ করে ওই হোটেলগুলিতে থাকা যাবে।
আরও জানানো হয়েছে, ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পরেও কোনও ব্যক্তি নিজের ইচ্ছানুযায়ী বাড়ি ফিরতে পারবেন না। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই তা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক ও চিকিৎসক ছাড়া কোনও অতিথিকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষদের সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে ৩১টি হোটেলে ওই ব্যবস্থা চালু হলেও পরে অন্য হোটেল কর্তৃপক্ষ যদি নিয়ম মেনে এই সুবিধা দিতে রাজি থাকে। তাহলে সেখানেও এই ধরনের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার খোলা হবে। তবে সবকিছুর উপর কড়া নজর রাখবে স্বাস্থ্য দপ্তর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.