ফাইল ফটো
গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যে করোনা আক্রান্ত আরও দুজন। দুজনেই হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ৭৬ বছরের বৃদ্ধা এবং ৫৬ বছরের প্রৌঢ়ার রিপোর্ট শনিবার সন্ধেয় আসে। দুজনেরই নমুনা পজিটিভ আসে। জানা গিয়েছে, নয়াবাদের করোনা আক্রান্তের আত্মীয় তাঁরা। এঁরাও ওই প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে মেদিনীপুরের এগরার সেই বিয়েবাড়িতে গিয়েছিলেন। এখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। রিপোর্ট আসার পরেই এগরাতে আতঙ্ক বেড়ে যায়। কারণ, এখন আক্রান্তের সংখ্যা এক থেকে বেড়ে হয়েছে তিন। চিকিৎসকদের অনুমান, সংখ্যাটা আরও কয়েকগুণ বাড়বে।
নয়াবাদের ওই আক্রান্ত ব্যক্তি অত্যন্ত সংকটজনক অবস্থায় পিয়ারলেস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভেন্টিলেশন চলছে। শনিবার তাঁর অবস্থার সামান্য উন্নতি হয় বলে জানিয়েছেন মেডিক্যাল সুপার সিঞ্চন ভট্টাচার্য। এই ব্যক্তির স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ, নাতনিকে ইতিমধ্যেই টালিগঞ্জের এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের লালারসের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এদিকে, আজ ৩৭ জনের নমুনার রিপোর্ট আসে। তাঁদের মধ্যে দুজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বাকিদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, নয়াবাদের বাসিন্দার থেকেই নয়া আক্রান্তদের সংক্রমণ ছড়িয়েছে নাকি তার উলটোটা হয়েছে। কারণ, রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছে, ওই বিয়েবাড়িতে ভিনরাজ্যের অনেক মানুষ আমন্ত্রিত ছিলেন। ফলে কতজনের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে তা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত স্বাস্থ্যকর্তারা। নিমন্ত্রিতদের তালিকা তৈরির কাজ আগেই তৈরি হয়েছিল। খোঁজ চলছে সেই ভিনরাজ্যের আমন্ত্রিতদের। সবাইকেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনায় মৃত দমদমের প্রৌঢ়ের চিকিৎসা করা ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীদের রক্ত পরীক্ষা হয়েছে। ১৪ দিনের জন্য তাঁদের পাঠানো হল হোম কোয়ারেন্টাইনে। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.