সন্দীপ চক্রবর্তী: কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের আবহেই নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)। ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ এবং তার পরের ঘটনাগুলি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশিই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়েও বিস্তারিত তথ্য দিলেন। করোনার (Covid-19) দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ রুখতে চলতি মাসের ১৬ মে থেকে রাজ্যে জারি একাধিক বিধিনিষেধ। যা কার্যকর থাকবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। আর এই বিধিনিষেধের কারণেই সংক্রমণ যে অনেকটাই কমেছে, সেকথাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নের (Nabanna) সভাঘরে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, “রাজ্যের করোনা পজিটিভিটি রেট গত কয়েকদিনে ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ১৮-১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জন্য রাজ্যের মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ তাঁদের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না। আমি মনে করি আরও ১৫দিন যদি এই বিধিনিষেধগুলি মানতে পারি, তাহলে আরও ভাল হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেথ রেট ০.৫৬ শতাংশ। যা কিনা প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় অনেকটাই কম।”
এদিকে রাজ্যে করোনার টিকাকরণ (Corona Vacination) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১.৪ কোটি লোককে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি গরিব মানুষ, যাঁরা কাজের মধ্যে থাকে তাঁদের। যেমন- অটো-টোটোচালক, রিক্সাওয়ালা, ট্যাক্সিচালক, বাস ড্রাইভার-কন্ডাক্টর, সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, ডাক্তার, নার্স, পুলিশকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এই সমস্ত পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ এবং সংবাদমাধ্যম মিলিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ লোককে করোনার টিকা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামিদিনেও যত টিকা পাব, সেগুলিও দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিনেশনে বাংলা কিন্তু এক নম্বরে।” এরপরই ফের কেন্দ্রকে তিন কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান তিনি।
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.