বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: দফায় দফায় হয়েছে বৈঠক। চায়ের পেয়ালায় উঠেছে তুফান। ভরাডুবির কারণ খুঁজতে ঝড় উঠেছে পার্টির বৈঠকে। আরও বৈঠক হবে। সবই হয়েছে কমরেডকুলের শিরোমণিদের মধ্যে। এবার নিচুতলার কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা।আগামী ৪ জুলাই নিচুতলার কর্মীদের কাছে ভরাডুবির কারণ ব্যাখ্যা করবেন কমরেডকুলের শীর্ষ নেতারা।
নির্বাচনের ফল বেরোনোর পর হতাশা গ্রাস করেছে। পথে নামতে অনীহা। কেউ বাড়িতে অথবা কেউ পার্টি অফিসে সীমাবদ্ধ রেখেছেন নিজেদের। নিজের মতো করে নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন সিপিএমের (CPIM) নিচুতলার কর্মীরা। ক্ষোভ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অনেকে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ-রাগ উগরে দিচ্ছেন। ভোটে ভরাডুবিকে কেন্দ্র করে পার্টির স্ট্যালিনিও শৃঙ্খলা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার উপক্রম। কর্মীদের ক্ষোভ আঁচ করেই এবার নিজেরাই কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলিমুদ্দিনের কর্তারা। ভোটের পর থেকে পার্টি-সহ শাখা সংগঠনের যেসব পর্যালোচনা বৈঠক হয়েছে তার নির্যাস নিয়ে হাজির হচ্ছেন পার্টি রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র (Surjya Kanta Mishra)।
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ভার্চুয়ালি রাজ্যের সমস্ত পার্টির সদস্যদের কাছে ভরাডুবির ব্যাখ্যা ও তথ্য তুলে ধরবেন। সঙ্গে পরবর্তী দিনে পার্টি কি চিন্তাভাবনা নিয়ে চলবে সেই ইঙ্গিত দেবেন তিনি। পার্টির কর্মীদের মনের ভেতরে আগুন জ্বলছে। যত দিন যাচ্ছে ক্ষোভ বাড়ছে। সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতেই পার্টির এহেন সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে আলিমুদ্দিনের একাংশ। অক্টোবর থেকে নিচুতলার সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা। তার আগে আলিমুদ্দিনের এই উদ্যোগ সুকৌশলী চাল বলে মনে করা হচ্ছে। আসলে সিপিএম মনে করছে, TMC তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসায় রাজ্যে BJP আরও দুর্বল হবে। সেক্ষেত্রে বিরোধী পরিসরে একটা শূন্যস্থান তৈরি হবে। যা দখল করতে চায় বামেরা। কিন্তু সেই কাজে নিচুতলার কর্মীদের সমর্থন প্রয়োজন। এদিকে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবির জেরে রাজ্য নেতৃত্বের উপর নিচুতলার কর্মীদের আস্থা নেই। সেই আস্থা ফেরাতেই জনতার দরবারে দাঁড়ানোর এই সিদ্ধান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.