প্রতীকী ছবি।
ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: কংগ্রেসের হাত ধরে নববর্ষের আড্ডায় মাতল সিপিএম। নির্বাচিত আমন্ত্রণও ছিল। নয়ের দশক থেকে কমিটি ফর ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন জাতীয় সংহতির বার্তা দিয়ে কাজ করছে দেশের পূর্বাঞ্চলে। তাদের উদ্যোগেই কলকাতায় নববর্ষের আড্ডায় আমন্ত্রণ জানানো হয় বাছাই করা বাম ও কংগ্রেস নেতাদের।
আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ দেবপ্রসাদ রায়, এই কমিটির প্রাক্তন সহ-সভাপতি প্রাক্তন মন্ত্রী প্রবোধ চন্দ্র সিনহা, প্রাক্তন বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, কৃষ্ণা দেবনাথ, আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা রানা রায় চৌধুরী, পলাশ ভান্ডারি প্রীতম ঘোষ, আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়, ফিরদৌস শামিম, যুব কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, বামপন্থী গায়ক সৌমিক দাস প্রমুখ। মহম্মদ সেলিমের সঙ্গেই হাজির ছিলেন গাড়ি বিতর্কে সদ্য প্রবল সমালোচিত হওয়া সস্ত্রীক শতরূপ ঘোষও।
নববর্ষের আড্ডায় বেছে বেছে শুধু কংগ্রেস আর সিপিএমই কেন? তবে কি কংগ্রেস আর বামেদের জোট আনুষ্ঠানিক সিলমোহরের দিকেই যাচ্ছে? কমিটির আহ্বায়ক কংগ্রেস নেতা সুমন রায়চৌধুরি কথায়, “যেসব মানুষ ভেদাভেদে বিশ্বাস করে না, তারাই এক ছাতার তলায় আসে। আর তাঁরাই জাতীয় সংহতির কথা বলে।” এদিনও তাই আলোচনা সভায় গান, কবিতা আবৃত্তির পাশাপাশি এই আড্ডায় ‘ধর্মে ধর্মে হানাহানি’র বিরুদ্ধে প্রত্যেকে সোচ্চার হয়েছেন বলে দাবি সুমনের।
তৃণমূল কংগ্রেস এই জোটকে বিজেপির সঙ্গী বলেই দাবি করে। কমিটির আহ্বায়কের পালটা দাবি, বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের আঁতাতই বরং বেশি লোকে জানে। অনুষ্ঠানে মাউথ অর্গান বাজিয়ে শোনান প্রাক্তন পুলিশ কর্তা অরিন্দম আচার্য। জাতীয় সংহতি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বাংলা ভাষা, তার উৎপত্তি আর পয়লা বৈশাখ– এসবের ঐতিহাসিক গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন দেবপ্রসাদ রায় ও সেলিম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.