সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তুবড়ি ফেটে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন বাজি বিক্রেতা। অন্যজন বাজি প্রস্তুতকারক। বিনা লাইসেন্সে বাজি তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই দু’জনকে।
রবিবার সন্ধেয় বাড়ির সামনেই বাজি পোড়াচ্ছিল হরিদেবপুরের খুদেরা। সেই সময় ঠাকুমার সঙ্গে রাস্তায় বেড়িয়েছিল বছর পাঁচেকের আদি দাস। সেই মুহূর্তে রাস্তার উপর তুবড়ি জ্বালানো হচ্ছিল। তখনই আচমকা তুবড়ির ভাঙা অংশ ছিটকে আদির গলায় লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। সূত্রের খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গেসঙ্গেই আদি গলা থেকে তুবড়ির ভাঙা অংশ বের করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কার্যত বাকরুদ্ধ আদির বাবা-মা। দুর্ঘটনা খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান পুলিশ আধিকারিকররা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনাও সংগ্রহ করেন।
এরপর ওই শিশুর পরিবারের সদস্যদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে যে দোকান থেকে ওই তুবড়ি কেনা হয়েছিল, সেই দোকানের মালিক বরুণ রায়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তার থেকেই বাজি প্রস্তুতকারক বিজয় সর্দারের হদিশ পায় তদন্তকারীরা। দু’জনকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিজেই বাজি প্রস্তুত করত বিজয় সর্দার। কোন মানের উপকরণ ব্যবহার করে ওই তুবড়ি প্রস্তুত করেছিল সে, তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। তদন্তে উঠে এসেছে গতবছরের মজুত করা বাজি বিক্রি করেছিল বরুণ। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। জানা গিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে তুবড়ি ফেটেই মৃত্য হয়েছে কসবার বাসিন্দা দীপকুমার কোলের। কোথা থেকে বাজি কিনেছিলেন ওই ব্যক্তি, ঠিক কী হয়েছিল রবিবার রাতে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.