নব্যেন্দু হাজরা: রাত পেরিয়ে সকাল হয়েছে। এখনও নবান্ন থেকে গোটা পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। কথা বলছেন উপকূলবর্তী জেলাগুলোর জেলাশাসকদের সঙ্গে। খোঁজ নিচ্ছেন ক্ষয়ক্ষতির।
ঘূর্ণিঝড় ডানা(Cyclone Dana) মোকাবিলায় আগেই প্রস্তুত হয়েছিল রাজ্য সরকার। বিপজ্জনক এলাকার বাসিন্দাদের সরানোর পাশাপাশি একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছিল প্রশাসনের তরফে। বৃহস্পতিবার গোটা রাত নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে তিনটে, ল্যান্ডফল প্রক্রিয়া চলাকালীন পূর্ব মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানকার পরিস্থিতি শোনেন। জানেন ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। মন্ত্রীদের এলাকায় থেকে আমজনতাকে সহযোগিতার নির্দেশ দেন।
এদিকে ডানার প্রভাবে রাজ্যজুড়ে বৃষ্টি চলছে। উপকূলবর্তী এলাকায় রীতিমতো দাপট দেখাচ্ছে বৃষ্টি। বেশ কিছু জায়গায় গাছ ব্যাহত ট্রেন-বাস পরিষেবা। অফিস টাইমে রাস্তাঘাট কার্যত জনশূন্য। তবে কলকাতা বিমানবন্দরে শুরু হয়েছে পরিষেবা। জানা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ডায়মন্ড হারবারে বৃষ্টি হয়েছে ৬৭ মিলিমিটার। দিঘায় বৃষ্টির পরিমাণ ৩৭ মিলিমিটার। হলদিয়ায় বৃষ্টি হয়েছে ৬৩ মিলিমিটার। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বর্তমানে এই ঘূর্ণিঝড় পারাদ্বীপ রাডারের আওতায় রয়েছে। স্থলভাগে সম্পূর্ণভাবে ঢোকার পরই গতি কমেছে ঘূর্ণিঝড় ডানার। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকারে থাকলেও গতিবেগ ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা রয়েছে, সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার রয়েছে। পুরের মধ্যে এটি সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.